Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইবার বুলিং প্রতিরোধে দরকার সচেতনতা

বুলিং শব্দটির সঙ্গে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। কথার ছলে আমরা হয়তো কাউকে কিছু বলে ফেলি, যা অজান্তেই বুলিং হয়ে যায়। বুলিং বলতে আমরা বুঝি দুজন ব্যক্তির মধ্যে তর্ক বা কথা কাটাকাটির জের ধরে কাউকে আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করা। আর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাউকে হয়রানির নাম সাইবার বুলিং। সাধারণত এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মেসেজিং , গেমিং প্ল্যাটফর্ম বা মোবাইলফোনে ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে যাদের টার্গেট করা হয়, তাদের ভয় দেখানো, রাগিয়ে দেওয়া, লজ্জা দেওয়া বা বিব্রত করার জন্য বারবার এমন আচরণ করা হয়।

সাইবার বুলিং অনেকভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে। সাইবার বুলিংয়ের প্রধান কয়েকটি রূপ সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো:

হ্যারাসমেন্ট বা হয়রানি: একজন সাইবার বুলিং ভিকটিমকে একের পর এক আপক্তিকর অনলাইন বার্তা পাঠানো হয়। এগুলো হয়রানির অন্তর্ভুক্ত। এই বার্তাগুলোতে অনেক সময় হুমকি থাকতে পারে।

এক্সক্লুশন বা বর্জন: ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কারণ ব্যতিত কাওকে বারবার বিভিন্ন গ্রুপ এক্টিভিটি থেকে বাদ রাখলে সেটি এক্সক্লুশন বা বর্জনের অন্তর্ভুক্ত। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফলাইন বুলিংয়ের অংশ হিসেবেই বিবেচিত হয়। তবে এটি অনলাইনের মাধ্যমেও করা হতে পারে। কাউকে বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কারণ ব্যতিত পরিচিতদের মধ্যকার গ্রুপে যুক্ত না করে, পরবর্তী সময়ে এই বিষয়ে তাকে খোঁচা দেওয়ার নামই হলো সাইবার বুলিং।

সাইবারস্টকিং: অনলাইনে কাউকে নজরদারি করা বা পর্যবেক্ষণ করাকে সাইবারস্টকিং বলে। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ ও হুমকিও দিতে পারে। সাইবারস্টকিং ও অফলাইন স্টকিং উভয়ই ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়। অপরাধীকে শাস্তি দিতে একজন ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।

আউটিং: আপনাকে সমাজের সামনে ছোট করার জন্য আপনার অনুমতি ছাড়া আপনার তথ্যগুলো প্রকাশ্যে শেয়ার করাকে আউটিং বলে। একে ডক্সিংও বলা হয়।

ফ্রেপিং: ফ্লিপিং বলতে বোঝায় আপনার নাম ও আপনার তথ্য ব্যবহার করে কেউ আপনার অনুমতি ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুপযুক্ত তথ্য শেয়ার করা । এই বুলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারো খ্যাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ট্রলিং: সব ধরনের ট্রলিংকে সাইবার বুলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। কোনো ব্যক্তিকে মানসিকভাবে আঘাত করার আশায় অনলাইনে তাদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে; এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে মূলত ট্রলিং বলা হয় । আর এ ধরনের ট্রলিংও সাইবার বুলিং।

ডিসিং: কাউকে কোনো ব্যক্তি সম্বন্ধে ভুল তথ্য দিয়ে সেই ব্যক্তিকে সমাজের অন্য মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার মতো কাজকে ডিসিং বলা হয়ে থাকে। অনলাইন পোস্ট বা ইন্টারনেনেট ব্যক্তিগত বার্তার মাধ্যমে এমন বুলিং করাকে সাইবার বুলিং বলেন। ফলে ব্যক্তিটির সঙ্গে অন্যান্য মানুষের সম্পর্ক খারাপ হয় এবং ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

ছদ্মবেশ: অনলাইনে নিজে পরিচয় গোপন রেখে অন্যের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি খারাপ কাজ করে থাকে কিংবা বিভ্রান্ত মুলক কর্মকাণ্ড করে, তাহলে যে ব্যক্তিটির পরিচয় ব্যবহার করা হয় সে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়, এটি সাইবার বুলিং হিসেবে পরিচিত।

প্রতারণা: কারও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে তার গোপনীয় এবং সংবেদনশীল তথ্য ব্যবহার করে অনলাইনে ভাইরাল করলে সেটি সাইবার বুলিংয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ ব্যক্তিটি অপরাধীকে বিশ্বাস করেই তাকে তথ্যগুলো দিয়েছে । সুতরাং ব্যক্তিটির উচিত ছিল, সেগুলো সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা, ভাইরাল করা নয় ।

ক্যাটফিশিং: কেউ যদি মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে কারও সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়িয়ে, প্রেমের বন্ধন তৈরি করে তার বিশ্বাসযোগ্য মানুষে পরিণত হয়ে ব্যক্তিটির সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে পরবর্তী সময়ে তা অনলাইনে শেয়ার করলে সেটি ক্যাটফিশিং হয়। এটিও সাইবার বুলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। ক্যাটফিশিংয়ের শিকার ব্যক্তিরা মানসিকভাবে প্রচণ্ড রকমের খারাপ অবস্থায় থাকে। ফলে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে।

ফেক আইডি: কোনো ব্যক্তি যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে একটি আইডি খুলে কোনো ব্যক্তিকে মেসেজ দেওয়ার মাধ্যমে বিরক্ত করে, বাজে কথাবার্তার ইঙ্গিত দেয়, তাহলে সেটিও সাইবার বুলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত।

গ্রুপে অ্যাড: কেউ যদি আপনার অনুমতি ছাড়া কোনো বাজে গ্রুপে বারবার এড করতে থাকে সেটিও সাইবার বুলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত।

কমেন্ট বক্স-ফেসবুক স্টোরি: কেউ যদি মাত্রাতিরিক্তভাবে কারও পোস্টের কমেন্ট বক্সে কিংবা ফেসবুক স্টোরির রিপ্লাইয়ে বাজে মন্তব্য বা সমালোচনা করলে তা ভুক্তভোগীর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়।

ট্যাগ/ম্যানশন: কেউ যদি তার কোনো বাজে পোস্টে বারবার কারও অনুমতি ছাড়া তাকে ট্যাগ করে কিংবা বাজে পোস্টে বারবার আপনাকে ইঙ্গিত করে বাজে কিছু বোঝানোর জন্য ম্যানশন করে, সেটিও সাইবার বুলিং।

গুজব: কেউ যদি আপনার সম্বন্ধে অযথা মজা করার ছলে হলেও আপনাকে মাত্রাতিরিক্তভাবে ছোট করে কিংবা আপনার সম্বন্ধে কোনো গুজব রটায়, সেটিও সাইবার বুলিং।

সাইবার বুলিং: আমরা কতটা সচেতন?
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে নিয়মিত সাইবার বুলিং, আপত্তিকর মন্তব্য কিংবা হয়রানির শিকার হয়। ইউনিসেফের ২০১৯ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, দেশে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া ৩৮ শতাংশ মানুষের বয়স ১০ থেকে ১৩ বছর, ৩৬ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর এবং ২৫ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর।

ঢাকায় অনলাইনে হয়রানির শিকার নারীদের ৭০ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর চালানো এক জরিপের বরাত দিয়ে ২০১৭ সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়-এসব দেশে সাইবার বুলিংয়ের ঝুঁকি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এবং নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে বুলিংয়ের।

অনলাইনে হয়রানি বা সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেকেই হতাশায় ভোগে। তারা কাজের মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। জীবনকে উপভোগ কড়া ভুলে যায়। একটি অংশ হতাশা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এরকম দুটি উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।

জাপানের ২২ বছর বয়সী হানা কিমুরা একজন পেশাদার কুস্তিগির ছিলেন। এছাড়া নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় রিয়েলিটি টিভি শো ‘টেরাস হাউসে’ অভিনয় করেছেন তিনি। গত বছরের ২৩ মে আত্মহত্যা করেন কিমুরা। অনলাইনে টেরাস হাউসের দর্শকদের ক্রমাগত সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় আত্মহত্যা করার আগে বেশ কয়েকটি টুইট করেছিলেন তিনি। কিমুরার টুইটগুলোতে আত্মহত্যার আভাস ছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার ২৫ বছর বয়সি সল্লি একজন অভিনেত্রী, গায়িকা ও মডেল ছিলেন। মেয়েদের বিখ্যাত কে-পপ ব্যান্ড ‘এফ (এক্স)’-এর সদস্য ছিলেন তিনি। তবে তার আরেক পরিচয় তিনি ‘নো-ব্রা’ আন্দোলনের একজন সমর্থক ছিলেন। অর্থাৎ, মেয়েদের বক্ষবন্ধনী না পরার পক্ষে ছিলেন সল্লি। এ জন্য তাকে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। এ কারণে হতাশায় ভুগে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন তিনি। ২০১২ সালের ১৭ জুন সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথম ‘স্টপ সাইবার বুলিং ডে’ উদযাপন করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় শুক্রবার দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

সাইবার বুলিং: প্রতিরোধ করুন সচেতন থাকুন
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত যেমন বাড়ছে সম্ভাবনা তেমনই এর ভুল ব্যবহারে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের অনিরাপত্তা। কিন্তু একটু সতর্ক হলেই নিরাপদ থাকা সম্ভব। তাই ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে ও বুঝতে হবে কোথায় আমাদের থামতে হবে।

ফেক প্রোফাইল সতর্কতা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সময় একটু সতর্ক হলেই অনলাইন এক্সপেরিয়েন্স আরও নিরাপদ করে তোলা সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা নিশ্চয়ই কোনো না কোনো পরিচয়ে পরিচিত। যাকে প্রোফাইল বলে থাকি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন কেউ নিজের পরিচয় গোপন করে ভিন্ন নাম বা ছবির আড়ালে। এসব ফেক প্রোফাইল হতে পারে আপনার জন্য ক্ষতির কারণ। ফলে এ সম্পর্কে আমাদের যেমন জানতে হবে তেমনই নিরাপদও থাকতে হবে।

কিন্তু ফেক প্রোফাইল চিনবেন কিভাবে? এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রোফাইলের ছবি চেক করুন। ছবিটি সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন অন্য কোথাও পাওয়া যায় কি না। তাছাড়া চেক করে দেখতে হবে- ইউজার নেম ও আইডি নেম একই কি না। এমন প্রোফাইলের ফ্রেন্ডলিস্টেও অন্য সন্দেহজনক আইডি যুক্ত আছে কি না। অ্যাবাউট সেকশন থেকে বেসিক ইনফো চেক করে নিন।

সেলিব্রেটি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আসল আইডি চেনার সহজ উপায় ভেরিফাইড মার্ক চেক করা। ফেক আইডি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে গেলে তাকে আনফলো বা আনফ্রেন্ড করে দিতে পারেন। ফেক আইডিটি বন্ধ করার জন্য সেই প্রোফাইলে গিয়ে রিপোর্টও করতে পারেন। আর যদি এসব আইডি থেকে কোনো রকম হয়রানির শিকার হন তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগও জানাতে পারেন।

গুজব এড়িয়ে চলা
জেনে বা না জেনে অনালাইনে আপনার ছোট্ট একটি শেয়ার হতে পারে অনেক বড় ক্ষতির কারণ। ইন্টারনেট ব্যবহারে একটু দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমেই গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু প্রতিদিন এতসব ইনফরমেশনের ভিড়ে কোনটি সঠিক কোনটি ভুল বুঝবেন কীভাবে? এজন্য প্রথমেই তথ্যটির সোর্স খেয়াল করতে হবে। যে সোর্স থেকে তথ্যটি এসেছে তা বিশ্বাসযোগ্য কি না যাচাই করে দেখুন। এছাড়াও খেয়াল করে দেখতে হবে- সংবাদটি অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সাইটে প্রকাশিত হয়েছে কি না। ওয়েব অ্যাড্রেসটি অদ্ভুত লাগছে কি না। যে প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা খবরটি দিয়েছেন তার নাম কোথাও শুনেছেন কি না।

এই বিষয়গুলো যাচাই করার পর যদি মনে হয় ইনফরমেশনটি ভুল তবে অবশ্যই শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি কোনো পেজ থেকে তথ্যটি আপনার সামনে আসে তবে রিপোর্ট করে দিতে পারেন আর ই-মেইলের ক্ষেত্রে রিপোর্ট করুন স্প্যাম মেইল হিসেবে।

অনলাইন হ্যারাসমেন্ট প্রতিরোধ
কথায় আঘাত লাগে! অনলাইনে অন্যের ব্যবহার করা ছোট্ট একটি শব্দ কিংবা ইমোজির এক্সপ্রেশন হয়ে উঠতে পারে অস্বস্তির কারণ। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারে একটু সচেতন হলেই এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা সম্ভব। আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে নিশ্চয়ই এমন কেউ আছেন যাকে আপনি চেনেন না। এমন সব অচেনা মানুষ কখনও আপনার ক্ষতির কারণ হতেই পারে। তাই অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শুধু তাই নয় বরং- সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত ইনফো পাবলিক করে রাখবেন না। সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অপরিচিত মেইল বা মেসেজ এড়িয়ে চলতে হবে। অন্য কারো পোস্টে আপনাকে ট্যাগ করার অপশন বন্ধ করে রাখতে পারেন।

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সম্ভাবনা যেমন সীমাহীন তেমনি এর ভুল ব্যবহারে হতে পারে ক্ষতি। সচেতন হলেই নিরাপদ থাকা সম্ভব।

ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা
বাস্তব জীবনে আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য কি সবার সঙ্গে শেয়ার করেন? তাহলে অনলাইনে কেনো? ইন্টারনেটের দুনিয়ায় শেয়ার করা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অনেক ক্ষেত্রে আপনার জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

অনলাইনে নিজের পুরো নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি কিংবা পাসওয়ার্ড শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। লোকেশন সেটিং বন্ধ রাখার মাধ্যমে নিজের অবস্থান না জানানোই ভালো।

আপনার পোস্ট কারা দেখতে পারবে সেটি ঠিক করে দিতে পারেন। টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখতে হবে। ই-মেইল আইডি বা ফোন নম্বর দিয়ে কেউ খোঁজার চেষ্টা করলে পাবে কি না সেটি ঠিক করে দিতে হবে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপায়ে আপনার শেয়ার করা ব্যক্তিগত তথ্যের ভুল ব্যবহার হতে পারে। সুতরাং, অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে হবে এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মুখোমুখি বুলিং এবং সাইবার বুলিং প্রায়শই একে অপরের পাশাপাশি ঘটতে পারে। তবে, সাইবার বুলিয়িং একটি ডিজিটাল পদচিহ্ন রেখে যায়। এই ডিজিটাল পদচিহ্ন এমন একটি রেকর্ড যা কার্যকর প্রমাণ হিসাবে কাজ করতে পারে এবং অপব্যবহার বন্ধে সহায়তা করতে প্রমাণ সরবরাহ করতে পারে। সাইবার বুলিং প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ