Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হোক

নারীরা সর্বত্রই নিজেদের যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে রাজনীতির ময়দানে কেন নারীরা পিছিয়ে থাকবে? নারীরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে কেন? আমরা জানি, বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী নারী-পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে নারী-পুরুষে বৈষম্য করার কোনো সুযোগ নেই।

সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না’। সংবিধানের ২৮ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরের নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন।’ তাহলে রাজনৈতিক ময়দানে নারীর আসন কেন সীমিত? আবার যেটুকু বরাদ্দ করা হয়েছে, তারও সঠিক বাস্তবায়ন নেই কেন?

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর নির্দেশনা অনুসারে রাজনৈতিক দলের সব পর্যায়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ও নারী উন্নয়ন ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা২০২৫ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের দাবি জানান।

১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদে ২০২০ সালের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার কথা থাকলেও আজ ২০২২ সালেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার সুস্পষ্ট বিধানসহ পূর্ণাঙ্গ আইন হিসাবে পাস করে আরপিওতেযুক্ত করার জন্য আহবান জানানো হয়। জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগ নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

নারীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব দাবি করে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু ২০২২ সালে এসেও সাংবিধানিক আইনের আওতায় নারীর জন্য সমান অধিকার বাস্তবায়ন করা হয়নি। রাষ্ট্র নারীদের প্রতি বৈষম্য হলে নারীর চলার পথ রুদ্ধ হবে। কেন্দ্র থেকে মফস্বল; সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অগ্রগতির সঙ্গে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে হবে। সর্বস্তরে নারীর সমান অংশগ্রহণ নারীর প্রতি করুণা নয়, বরং নারীর অধিকার।

সর্বস্তরে নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক পরিস্থিতির এখনই পরিবর্তন হওয়া জরুরি। রাষ্ট্রীয় বিধান মতে, নারীদের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন আজও সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন যা আগে হয়নি। তবে রাজনৈতিক ময়দানে নারীরা কেন পিছিয়ে থাকবেন? নারীর যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা গেলে নারীদের রুদ্ধ জীবনের পরিত্রাণ ঘটবে আশা করি।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ