Skip to content

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনন্যা শীর্ষদশ ও সাহিত্য পুরস্কারজয়ী আনোয়ারা সৈয়দ হক পেলেন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার

আনোয়ারা সৈয়দ হক একাধারে গল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী প্রবন্ধ, শিশুতোষ রচনা ও কলাম লিখে থাকেন। সাহিত্যজীবনের শুরু তার কবিতা দিয়ে হলেও পরবর্তীসময়ে তিনি ছোটগল্প ও উপন্যাসে মনোযোগ দেন।

তার উপন্যাস তৃষিতা, সোনার হরিণ, জলনুড়ি, উদয় মিনাকে চায়, সেই প্রেম সেই সময় দুই রমণী, ব্যবহৃতা, নখ, চেমন আরার বাড়ি, সন্দেহ, খাদ, ঘুম, আকাশ ভরা, ভালোবাসার লাল পিঁপড়ে, তারাবাজি প্রভৃতি বাংলাসাহিত্যে সমাজ, নারী ও পরিবেশের একেকটি দালিলিক চিত্র

ছোটগল্পও তার হাতে নতুন মাত্রা পেয়েছে। প্রায় গল্পে নারীর রিক্ত নিঃস্ব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। তিনি বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন। স্বপ্নের ভেতর থেকে বাস্তব এবং বাস্তবের ভেতর থেকে স্বপ্নকে ছেঁকে তোলা তার এক ধরনের অভিপ্রায়, যা প্রায়শ তার লেখার মূল উপজীব্য হয়ে থাকে। প্রবন্ধের বই তিনটি। ভ্রমণকাহিনি দু’টি। কলাম ও কবিতা সংকলন বেশ ক’টি। এসব গ্রন্থ ছাড়াও শিশুতোষ রচনায় তার দক্ষতা মর্যাদার সঙ্গে স্বীকৃত।

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বেশ কিছু সম্মাননা অর্জন করেছেন। শিশুতোষ রচনার জন্যে পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার, চাঁদের হাট পুরস্কার, ইউনেস্কো পুরস্কার। এছাড়া পেয়েছেন মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, পদক্ষেপ সম্মাননা, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।

আনোয়ারা সৈয়দ হক ‘অনন্যা শীর্ষদশ’ সম্মাননার পাশাপাশি ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার’ও পেয়েছেন। তার কলম এখনো সক্রিয়। ২০১৫ সালের ঈদসংখ্যায় তার দু’টি উপন্যাস, একটি ভ্রমণকাহিনি, পাঁচটি ছোটগল্প ছাপা হয়েছে। ছাপা হয়েছে কবিতা ও একটি নাটকও। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইংল্যান্ড চলে যান এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসাবে রয়েল কলেজের সদস্যপদ লাভ করেন। পেশায় চিকিৎসক হলেও নিজেকে তিনি লেখক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ