ত্বক ফাটা রোধে সতর্ক হোন এখনই!
দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর সেই সঙ্গে যেনো উঁকি দিচ্ছে রুক্ষতা। শীত আসলে প্রধান যে সমস্যাটি দেখা দেয় তা হলো ত্বক ফাটা। অনেকের তো এ সমস্যাটি মারাত্মক আকারও ধারণ করে৷ তাই এখন থেকেই যদি কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায় তবে এই শীতে ত্বক ফাটা নিয়ে হয়তো কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে হবেনা।
ময়েশ্চারাইজারঃ এখন থেকেই ত্বক আদ্র রাখার জন্য ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আর ময়েশ্চারাইজার কেনার আগে উপাদান গুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিবেন। অ্যাভোকাডো অয়েল, মিনারেল অয়েল, প্রিম রোজ অয়েল, আমন্ড অয়েল মেশানো থাকলে তা বেশ উপকারী হয়। তাই এসব উপাদান দেখে কেনার চেষ্টা করুন।
সানস্ক্রিন: সবসময়ের সঙ্গী হোক সানস্ক্রিন। অনেকেই ঋতুভেদে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। তবে তা না করে গরম, শীত যেকোনো ঋতুতেই সানস্ক্রিনের ব্যবহারের চেষ্টা করুন। আর শুধু মুখেই নেই। শরীরের সব খোলাস্থানে সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
পানি পান: শীত পরতে শুরু করলেই আমাদের পানি খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়৷ যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ত্বক ফাটার পেছনে অন্যতম কারণও বলা যায়। তাই শরীরে পানির ঘাটতি রাখা যাবেনা। নিয়মিত পানি পান করতে হবে।
ফলমূল ও শাকসবজি: এরমধ্যেই বাজারে শীতকালীন শাকসবজি ও ফলমূল আসতে চলেছে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শীতকালীন শাকসবজি ও ফলমূল রাখার চেষ্টা করবেন। যা স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী৷
হাত ও পায়ের ত্বকের যত্ন: আমরা বরাবরই মুখের যত্নে অনেক সচেতন হলেও হাত-পায়ের যত্নে বেশ উদাসীন। অথচ শীতকালে সবচেয়ে বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয় হাত-পায়ের ত্বক। তাই চেষ্টা করতে হবে মুখের পাশাপাশি হাত-পায়ের ত্বকের যত্ন নিতেও৷
শীতের সময় ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য নিয়ে পরতে হয় বেজায় সমস্যায়। তাই শীত পুরোপুরি জেঁকে বসার আগে থেকেই যদি কিছু পদক্ষেপ নিয়ে এ সমস্যা আসার সম্ভাবনা কিছু কমানো যায়, তবে মন্দ হয়না!