আজ ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। এই ভূমিকার পুরো কৃতিত্ব যায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে৷ আজ ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ইন্দিরা গান্ধী। পণ্ডিত জওহর লাল নেহরুকন্যা ইন্দিরার ছাত্রজীবন কেটেছে স্যুইজারল্যান্ডের বেকস্-এই কোলেনোভেল, জেনেভার ইকোলে ইন্টারন্যাশনাল, পুনে ও মুম্বাইয়ের পিউপিলস ওন স্কুল, ব্রিস্টলের ব্যাডমিন্টন স্কুল, শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী এবং অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজে।
১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন৷ নেহেরু-কন্যা রূপে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ইন্দিরার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১৯৬৬ সালে প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন৷ ১৯৭১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ইন্দিরা গান্ধী দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ একটানা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্দিরা গান্ধী৷ এই পর্যায়ে রাজন্য ভাতা বিলোপ, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচী রূপায়ন করেন৷ ১৯৭১এ তৃতীয় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জয়লাভ করে৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷ ১৯৭৫ সালে তিনি দেশে শান্তি এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ জরুরি আইন জারী করেন৷ এ জন্য সমালোচিত হন ইন্দিরা গান্ধী৷ এরপর ১৯৮০ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে বিজয়ী এবং প্রধানমন্ত্রী হন৷ ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয় (যা অপারেশন ব্লু স্টার নামে পরিচিত ছিল)। তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই(১৯৮৪ সাল) ৩১শে অক্টোবর৷ তার নিজের দেহরক্ষীর হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷
২০১১ সালের ২৫শে জুলাই বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’য় ভূষিত করে তাকে।
আজ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণ দিবসে তার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।