আজ অনন্যার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
‘অনন্যা’ এই বাংলা শব্দটির অর্থ হলো অদ্বিতীয়, যার কোনো তুলনা নেই। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে নারীদের মুখপত্র হিসেবে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে ‘অনন্যা ম্যাগাজিন’। যেমন নাম তেমন কাজ। দেখতে দেখতে ম্যাগাজিনটি পার হয়ে এলো দীর্ঘ ৩৪ বছর।
নারীর চোখে বিশ্ব দেখার প্রত্যয়ে সম্পাদক তাসমিমা হোসেন ‘অনন্যা ম্যাগাজিন’ নিয়ে এক নতুন যাত্রা শুরু করেন। সেই যাত্রা এখনো চলছে। তাসমিমা হোসেন বাংলাদেশের কোনো দৈনিকের প্রথম নারী সম্পাদক। অনন্যা শুধু বাংলাদেশই নয়, সমগ্র বিশ্বের নারীর সক্ষমতা ও অগ্রগতিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে। লেখার মাধ্যমে তুলে ধরে নারীর মানবিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলো।
১৯৯৩ সাল থেকে পাক্ষিক অনন্যা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত নারীদের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা’ দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে নারীর অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিনয়, সংগীত, খেলাধুলা, শিক্ষা, চিকিৎসা, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজকল্যাণ তথা আইন, মানবাধিকার, উদ্যোক্তা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা প্রভৃতি অঙ্গনে যেসব নারী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন তাদের কর্ম সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ এই শীর্ষদশ সম্মাননা। দেখতে দেখতে ৩৫ বছরে পা দিলো অনন্যা। অনন্যা ম্যাগাজিন নারী জীবনের সংগ্রামের গল্প শোনায়, শোনায় সফলতার গল্প।
নারীর সংগ্রামী জীবনকে তুলে ধরে সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে। সামনে আরও সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে অনন্যাকে। শুভ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, অনন্যা।
অনন্যা/এআই