Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাতাসে পূজার ঘ্রাণ

হিন্দু ধর্মের সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজা! তাই এই উৎসবকে ঘিরে সবার পরিকল্পনার শেষ নেই, বিশেষ করে নারীর সাজ। সবাই চায় এই দিনে তাকে লাগুক সবচেয়ে ভিন্ন।

ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে সাধারণত হালকা সাজকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ সপ্তমীর দিন যেহেতু অঞ্জলি দেওয়া হয়, সেহেতু সেই দিন আরামদায়ক পোশাক বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

অষ্টমীর দিন ভারী কোনো সাজ দেওয়া যেতেই পারে। সিল্ক কিংবা কাতান শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। চুল বড় হলে ঢিলে করে একপাশে বেণী কিংবা খোঁপা করে নিজের মাঝে নিয়ে আসা যাবে স্নিগ্ধতা।

নবমীর দিন গর্জিয়াস মেকাপ নিয়ে থাকে অনেকেই, চোখে ভিন্ন সাজ দিয়ে নিজেকে একটু ভিন্ন দেখানো যেতে পারে। এইদিনে জামদানি, কাতান কিংবা মসলিন শাড়ি পরা যেতে পারে।

দশমীর দিন হয় রং খেলা। এই দিন সাদা সুতি শাড়ি কিংবা সাদা কোনো কুর্তি পরা যেতে পারে। সঙ্গে কপালে ছোট লাল টিপ আর হাত ভর্তি চুড়ি পরে নিজেকে দেওয়া যায় নান্দনিকতার ছোঁয়া।

পূজায় নারীর পছন্দের তালিকায় প্রথমে শাড়ি থাকলেও এখন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো নিয়ে এসেছে হরেক রকমের পোশাক। সালোয়ার কামিজ, লেহেঙ্গা এসব ছাড়া অনেকেই পূজায় ওয়েস্টার্ন পোশাকেও নিজেকে তুলে ধরছে।

প্রতিটি পোশাকের সাথে জুতো নির্বাচন করতে হবে সচেতনভাবে। কারণ মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরাঘুরিতে জুতো যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য জুতোতে ফ্যাশনের পাশাপাশি আরামদায়ক কিছু বেছে নিতে হবে।

গয়না ছাড়া পূজোর সাজ অসম্পূর্ণ। সোনার গয়না ছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের রূপার গয়না অনেকে পরে থাকে।


বাঙালিয়ানাকে ফুটিয়ে তুলতে অনেকে পরে কাঁসার কিংবা মাটির গয়না। প্রাধান্য পাচ্ছে হাতে তৈরি কাপড়ের গয়না। গয়না বেছে নিতে হবে পোশাকের ধরন বুঝে।

তবে সাজ যেমনই হোক সবার আগে স্বাচ্ছন্দ্যবোধকে মাথায় রাখতে হবে কারণ কোনো পোশাক বা সাজে যদি আমরা সারাদিন অস্বস্তি বোধ করি তাহলে পূজার আনন্দটাই যেন মাটি হয়ে যায়।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ