কালোজিরায় সারবে রোগ
মানবদেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা একটি উপাদান হলো কালোজিরা। কালোজিরা কম-বেশি সবার পরিচিত। এই কালোজিরায় নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শ্বাসকষ্ট, মাইগ্রেশনের সমস্যাসহ নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কালোজিরা প্রাচীনকাল থেকেই মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে আসছে। কালোজিরা দেখতে ছোট দানা হলেও এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
কালোজিরায় রয়েছে লৌহ, ফসফেট, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও বিভিন্ন জীবাণুনাশক উপাদান । ক্যান্সার-প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন এবং প্রস্রাব-সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধকারী উপাদানও রয়েছে কালোজিরায়।
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরার জুড়ি মেলা ভার। কালোজিরা একটি পরিষ্কার কাপড়ে জড়িয়ে নাকের কাছে নিয়ে বড় করে শ্বাস টানুন কিছুক্ষণ। কালোজিরার ঝাঁজ বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মাকে টেনে বের করতে সাহায্য করবে। সেই সাথে বন্ধ নাক থেকেও মুক্তি দেবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে সর্দি-কাশি সারাতে কালোজিরা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এ-ছাড়া অনেক সময় ঠান্ডাজনিত কারণে বুক জ্যাম লাগে। তখন কালোজিরার তেল গরম করে বুকে ও পিঠে কয়েক বার মালিশ করলে কষ্ট কমে যাবে। এ-ছাড়া, কাশি থেকেও মুক্তি মিলবে। শুধু সর্দি-কাশিতেই নয় শ্বাসকষ্টের সমস্যাতেও কালোজিরা উপকারী। তাই, যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তারা কালোজিরা কাপড়ে পেঁচিয়ে হাতের কাছে রাখতে পারেন। সমস্যা মনে হলে ব্যবহার করতে পারেন।
কালোজিরার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই, খাবার তালিকায় সপ্তাহে এক দিন কালোজিরার ভর্তা রাখা যায়।
রক্ত-স্বল্পতা দূর করতেও কালোজিরার জুড়ি নেই। কারণ, কালোজিরায় রয়েছে ফসফেট, ফসফরাস ও লৌহের উপস্থিতি। ফলে কালোজিরা রক্ত-স্বল্পতার রোগীর জন্য উপকারী উপাদান।
কালোজিরার তেল শারীরিক নানা সমস্যা সমাধানে কাজ করে। বিশেষ করে যাদের মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তারা কালোজিরার তেল কপালে মালিশ করলে আরাম পাবে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ফসফরাস। আর কালোজিরায় প্রচুর পরিমানে ফসফরাস রয়েছে। তাই জীবাণুর হাত থেকে বাঁচাতেও কালোজিরা বেশ উপকারী।