Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ খ্রিষ্টীয় নববর্ষ

ইংরেজি নববর্ষের ছোঁয়া লেগেছে রাজধানী সহ সারা বিশ্ব জুড়ে। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিল আরও একটি বছর। নতুন দিনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হলো নতুন একটি বছর। অতীতের ঘরে জমা হওয়া দুঃখ-হতাশা-ক্ষোভ-ভুলকে দূরে ঠেলে নতুন ভাবে সামনে এগোনোর বার্তা নিয়ে হাজির হল ২০২২।

 

দেশে কঠোর নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধের মধ্যে দিয়ে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনসারা ব্যাপী ছিল বছর শেষের আমেজ। সন্ধ্যার পর থেকেই তা আরও পাল্টে যেতে থাকে চারদিকের পরিবেশ।  রাজধানীর অনেক এলাকায় বাসাবাড়ির ছাদে নানা আয়োজনে মেতে ওঠেন উৎসবপ্রেমী মানুষ। গান বাজিয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে, ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপন করেন তাঁরা। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন এলাকায়ও একই ধরনের আয়োজন রয়েছে। রাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টার ঘর স্পর্শ করতেই ঢাকার আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজিতে।

 

একটা একটা করে বাজি ফুটছে, আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে রঙিন আলো। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ছে সবাই। অন্তত আধাঘণ্টা ঢাকার আকাশ ছিল আলোকছটায় বর্ণিল। ফাঁকে ফাঁকে উড়েছে ফানুসও। 

 

যদিও গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও কঠোর নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালো দেশবাসী। এদিকে ২০২১ সালের মতো ২০২২ সালেরও যাত্রা শুরু হলো করোনাভাইরাসের মহামারিকে সঙ্গে নিয়ে। আর এ কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষবরণের আয়োজনে রয়েছে মহামারি অবসানের প্রত্যাশা।

 

ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘নববর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ, খ্রিষ্টীয় নববর্ষে এ প্রত্যাশা করি।’ 

 

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার, সকল সংকট দূরীভূত এবং সকলের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে, দল বেঁধে উদযাপনে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেও অন্যদের বেলায় এই সুযোগ ছিল কম। রাত ৯টার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

 

একই চিত্র ছিল নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রও। পাশাপাশি রাত বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি টহল শুরু হয়েছে। মোড়ে-মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ