Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ মহান বিজয় দিবস 

পঞ্চাশের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হলো আজ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। 

 

আজ সেই ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ৯ মাস যুদ্ধের পর অর্জিত এ বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হলো এবছর। আজকের দিনে বাঙালি জাতি বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, গৌরবময় এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অবিস্মরণীয়। একটি স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিতি পায় বাংলাদেশ। 

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের ৭ই মার্চ ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে জাতিকে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই পরাজয় মেনে নিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মাথা নত করে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র সমর্পণ করেছিল বাঙালি জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। 

 

৫০ বছর আগে আজকের এই দিনেই বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে পরিচিতি মিলে। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আয়োজন করা হয়েছে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। 

 

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করেছে।

 

অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন আজ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৪টায় এবং শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় থাকবে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা সম্মানীয় অতিথিকে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা স্মারক প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।

 

বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে এবং এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

 

এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

আজ সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। এছাড়া বীর সেনাদের সশস্ত্র বেদনায় স্মরণ করছে বাঙালি জাতি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে ঢল নেমেছে হাজারও বাঙালির। 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ