Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তালেবান নীতিতে আফগান নারীদের বেহাল দশা!

গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই সবথেকে শঙ্কায় দেশ কাটাচ্ছেন দেশটির নারীরা। তালেবান সরকার গঠনের পর তাদের দেয়া নীতির কারণে বেহাল দশায় দিন কাটাতে হচ্ছে আফগান নারীদের। এবার তেমনি এক নারীর ঘটনা সামনে আনলো রয়টার্স।  

 

কয়েকমাস আগেও তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। কিন্তু ঘরের বাইরে নারীদের কাজ করার ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞা জারির পর চাকরি হারিয়েছেন সাবেক শিক্ষক হাদিয়া আহমাদি। পরিবারে তিনি ছাড়া এই মুহূর্তে নেই আর কোনো উপার্জনক্ষম মানুষ। তাই বাধ্য হয়ে ফুটপাথে জুতা পালিশের কাজ শুরু করেছেন তিনি। এমনটাই তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সে।

 

তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে হাদিয়া আহমাদি শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামী একটি রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তার এক মেয়েও সরকারি একটি সংস্থায় চাকরি করতেন। সব মিলিয়ে বেশ সচ্ছলভাবেই দিন কাটছিলো তাদের। কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসে পরিবারটি। 

 

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর পরিবারের উপার্জনকারী তিনজনের মধ্যে প্রথম চাকরি হারান হাদিয়া আহমাদি। এর কয়েক দিন পরই তার স্বামী এবং সর্বশেষ তার মেয়েও চাকরি হারান। এমনকি টিউশন ফি দিতে না পারায় কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা বাদ দিতে বাধ্য হন তার এক ছেলে। রয়টার্সে তার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আবারও নিন্দার ঝড় ওঠে তালেবান সরকারকে নিয়ে।  

 

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান সরকার। ক্ষমতায় আসার পরই দেশজুড়ে মেয়েদের স্কুলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। নিষিদ্ধ করা হয় ঘরের বাইরে নারীদের কাজ করা। এর আগে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করার অনুমোদন দেয়নি তালেবান সরকার। এ কারণে আহমাদির মতো অনেক নারীই করুণ অবস্থায় দিন পার করছে। 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ