Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাঈমুল রাজ্জাকের এগিয়ে চলা

সৃজনশীলতা বলতে এমন ধারনাকে বোঝায় যেখানে কিছু প্রকার বিষয়গত মান থাকে।যেমন হতে পারে সাহিত্যকর্ম,সমাধান,নির্মাণ,আলোকচিত্র,চিত্রকর্ম ইত্যাদি। গুণগত প্রেরণা এবং এটা সাধারণত বুদ্ধি ও জ্ঞানের সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। তরুণের নাম নাঈমুল রাজ্জাক,  সৃজনশীলতার পাশাপাশি যিনি শিক্ষাক্ষেত্রেও সমানভাবে সফল।
শৈশব হতেই সৃজনশীল কাজগুলোর সঙ্গে যুক্ত হন নাঈমুল রাজ্জাক। এক যুগ ধরে লেখালিখির সঙ্গে তাঁর সংযুক্তি,  শৈশবেই দৈনিক পত্রিকায় লেখালিখি সাহিত্য পাতায়। লেখালিখির প্রতি আগ্রহ শৈশবেই সৃষ্টি। ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ফিচার লেখক ও কন্ট্রিবিউটর হিসেবে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং কিছুদিন সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন।নাঈমুল রাজ্জাকের রচিত ছয়টি একক গ্রন্থ ও কয়েকটি সংকলিত গ্রন্থ রয়েছে। তিনি লিখছেন মূলত ছোটগল্প ও উপনাস।অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত তাঁর লেখা ছোট গল্পের বই উপাখ্যানে সমাপন স্বল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করে।

 

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পার্ল পাবলিকেশন্স হতে প্রকাশিত হাসান জায়েদি কর্তৃক ধ্রুব এষের প্রচ্ছদে নিভৃতে গৌরব ও ধ্রুব জ্যোতির প্রচ্ছদে ছোট গল্পের বই অর্পিত তরঙ্গে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। নাইমুল রাজ্জাকের এই দুটি বইয়ের পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. নূহ উল আলম লেনিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজী, কবি আসলাম সানী, ঢাবি’র সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক, গীতিকবি এম আর মনজু, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. শামসুল আলম, প্রকাশক হাসান জায়েদি, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সাবেক পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন মঞ্জু। কবি ও আবৃত্তিশিল্পী তরুণ রাসেলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কবি নইম হাসান। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আলোচকরা বলেন, ‘নাইমুল রাজ্জাকের লেখায় নির্মল অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে। তার লেখা আশার আলো দেখায়, স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা বলে।’

 

হারুন অর রশিদ কর্তৃক প্রকাশিত নাঈমুল রাজ্জাকের উপন্যাস ‘অবেলার নোনাজলে’ প্রকাশ লাভের পরবর্তীতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই উপন্যাস সম্পর্কে লেখক জানান, উপন্যাস জুড়ে বিভিন্ন ধারার বিস্তৃতি ঘটিয়েছি। যা পাঠকদের আকৃষ্ট করবে বলে আমি মনে করি। মধ্যবিত্ত পরিবারে গতি বিষয়ে কিছু অনিশ্চয়তা আছে।গতিতে অনিশ্চয়তা চলে আসে।আবার গতিতে সক্রিয়তা চলে আসে অনিশ্চয়তা দূরীকরণে। মানুষের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশের অব্যাহত অনুশীলনে নৈতিকতা, বিবেকবুদ্ধি ইতিবাচকতার সৃষ্টি ঘটায়। সম্প্রতি তাঁর লেখা আরও একটি বই  ‘The best poems’ শ্রেষ্ঠ কবিতা নামে নভেল পাবলিশিং হাউজ থেকে নাইমুল হক হৃদয়ের প্রচ্ছদে প্রকাশ লাভ করেছে। এছাড়াও নাঈমুল রাজ্জাক জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদকীয় লিখছেন। তার সংকলিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পের আসর, গল্পদ্য প্রথম সংকলন, গল্পদ্য দ্বিতীয় সংকলন অন্যতম। তাঁর সব বইগুলো দেশের বহুল প্রচলিত অনলাইনে রকমারি.কম এ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও তাঁর বই অনলাইনে  বইবাজার,বইমেলা,বইপোকা,ইত্যাদি শপ,কানামাছি.কম,বুকশপ বিডি পাওয়া যাচ্ছে।  

শিক্ষাক্ষেত্রেও সফলতা বজায় রেখেছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা থাকার ফলে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করার মনোনিবেশ করেন। আইন বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন ল ব্রিটিশ ল নিয়ে সম্পন্ন,আইন বিষয়ে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা অনুষদ হতে এমএসএস সম্পন্ন করেন। পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা হিউম্যান রিসোর্চ ম্যানেজমেন্ট এ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।এর পাশাপাশি তিনি তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত এ আর স্কুল এন্ড কলেজের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এ আর স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর বাবা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার জনসাধারণের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠা করা হয় এ আর স্কুল এন্ড কলেজ।

 

শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতকরণে স্বল্প বেতনে পাঠগ্রহণের সুযোগের লক্ষ্যে এবং একজন সুনাগরিক হয়ে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলছে এ আর স্কুল এন্ড কলেজ। সূচনালগ্ন থেকে এ আর স্কুল এন্ড কলেজ সকল পাবলিক পরীক্ষায় ১০০% ভাগ সাফল্যসহ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের আস্থার স্থান অর্জন করেছে। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, প্রশস্থ ক্লাসরুম,বাগান,খেলাধুলার সুবিধা থাকায় অভিভাবক,এলাকাবাসী এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থাশীল। কোভিড – ১৯ মহামারীতে মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তার করে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে বিনা ভর্তি ফিতে ভর্তিসহ স্বল্প বেতনে এ আর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, সৃজনশীল কাজের মাঝে এক প্রকার প্রশান্তি রয়েছে। সৃজনশীল কাজগুলোর মধ্যে পরিচালনাও তাকে আকৃষ্ট করে। তিনি নাটকে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। নির্মাণের ইচ্ছায় কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।নির্মাণ করেছেন। লেখালিখিতে অবদানের জন্য অর্জন করেছেন শুভজন লেখক পুরুস্কার (ছোটগল্প),বাউলতরী পদক, এক্সিলেন্স বাংলাদেশ সম্মাননা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত রয়েছেন।নাঈমুল রাজ্জাক এ আর স্কুল এ্যান্ড কলেজের সার্বক্ষণিক তদারক করে চলছেন ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান। ক্রমান্বয়ে এ আর স্কুল এ্যান্ড কলেজকে আশুলিয়ার সেরা শিক্ষালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ