Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। সেই থেকে সাংবার্ষিকভিত্তিতে বাংলাদেশে ২১ নভেম্বর পালিত হয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস। 

 

আজ ২১ নভেম্বর, যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

 

দিবসটি উপলক্ষে আলাদা বাণীতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ গ্রেপ্তারের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা মুক্তিকামী সাধারণ জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত আক্রমণ শুরু করেন।

 

যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় মুজিবনগর সরকার। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী।

 

বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে স্থল, জল ও আকাশ পথে আক্রমণ শুরু হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিজয় এর পথে এগিয়ে যায়। দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখা প্রতিটি বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নানান আয়োজনে সারা দেশে পালিত হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ