চা পাতায় চুলের যত্ন!
এক কাপ চা আমাদের সারাদিনের শত ক্লান্তিবোধকে কাটিয়ে শরীরকে সতেজ করে তোলে। তবে চায়ের ব্যবহার এখানেই শেষ নয়। চুলের যত্নে চা দারুণ কাজ করে। মানব শরীরেও চায়ের বেশ প্রভাব রয়েছে। চা-এ রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং প্যানথেল। যা চুলের বৃদ্ধি, চুল পড়া রোধ, চুলকে ঝলমলে করা সহ আরো নানা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
নিষ্প্রাণ চুলের যত্নে:
অনেকের চুল ভেঙে যায়। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করতে পারেন ব্ল্যাক টি। যাদের চুলে উজ্জ্বলতা নেই, উষ্কখুষ্ক, তারাও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন চায়ের লিকার ব্যবহারে। দুই ক্ষেত্রেই চায়ের লিকার চুলে দিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে:
চুলের উজ্জ্বলতার জন্য চায়ের লিকার দিয়ে কন্ডিশনারও বানিয়ে নিতে পারেন। চা পাতা ফুটিয়ে গরম করে নিন। তারপর ঠাণ্ডা করে ছেঁকে লেবুর রস দিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল হবে ঝলমলে।
খুশকির সমস্যায়:
শীতকালে অনেকের চুলে খুশকি দেখা যায়। তারা চাইলে চা পাতার প্যাক করে নিতে পারেন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে চুলের খুশকি দূর হবে। ব্যবহার করা চায়ের পাতা ফেলে না দিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা করে চুলে ব্যবহার করুন। এতে চুলের খুশকি দূর হবে ও চুল উজ্জ্বল হবে।
চুল পড়া বন্ধ:
চুল পড়া রোধ ও চুলের বৃদ্ধিতে কাজ করে চায়ের লিকার। চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এরপর এই পানি চুল ও মাথার তালুতে স্প্রে করতে হবে। নিয়মিত করলে চুল পড়া কমবে এবং চুলের বৃদ্ধি ভালো হবে।
চুল পাকা রোধে:
অনেকের কম বয়সে চুল পাকতে শুরু করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চায়ের লিকার ব্যবহার করতে পারেন। পাকা চুলে কালো রং পেতে চাইলে চা পাতার সঙ্গে হেনার রস মিশিয়ে প্যাক করে নিন। এই প্যাক চুলে লাগিয়ে আধাঘণ্টা রেখে দিন। চুল শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।