কাশ্মীরে প্রথম নারী পুলিশ স্টেশন চালু
কাশ্মীরকে বলা হয়ে থাকে ভূস্বর্গ। কাশ্মীরকে নিয়ে বরাবরেই ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে।মাঝে মাঝে এই দ্বন্দ্বের জের ধরে রাষ্ট্র দুটির লাইন অফ কন্ট্রোল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য সামরিক কলাকৌশল সাজিয়ে রাখে দুটি রাষ্ট্র। এবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এ শান্তি রক্ষায় এক ভিন্নধর্মী উদ্যোগ।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো নারী নিয়ন্ত্রিত পুলিশ স্টেশন চালু করা হয়েছে। আইন ও বিচারব্যবস্থার ওপর মহিলাদের আস্থা ফেরাতে এ রাজ্যের রাওয়ালকোটে সোমবার এটি উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরদার আবদুল কাইউম নিয়াজি। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. সোহিল হাবিব তাজিকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আইজিপি ড. সোহিল হাবিব তাজিক বলেন, কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের হয়রানি, সাইবার স্টকিং, শিশু নির্যাতন, গার্হস্থ্য সমস্যা, সহিংসতা, নারী নির্যাতনের অভিযোগগুলো তদন্ত করবে এই স্টেশন। এ ছাড়া নারী সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বিরোধসহ নানাবিধ নাগরিক সমস্যার অভিযোগগুলোও তদন্ত করবে এই নারী পুলিশ স্টেশন। প্রাথমিকভাবে ১১ সদস্যের একটি দল এই থানা পরিচালনা করবে। অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদা হানিফ।
এরপর মুজাফফরাবাদ এবং মিরপুরের বিভাগীয় সদর দপ্তরে একটি করে স্টেশন স্থাপন করা হবে। আন্তর্জাতিকভাবে লিঙ্গ-বৈষম্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৩ নম্বরে। তাদের পেছনে রয়েছে আর মাত্র তিনটি দেশ।এ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘নতুন এই থানা স্থাপন সেই ব্যবধান কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।'
আজাদ কাশ্মীরে নারী পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ১৫০ জন, যেখানে মোট পুলিশের সংখ্যা আট হাজার। সেই তুলনায় নারী পুলিশের সংখ্যা অনেক কমই। পাকিস্তানে নারী পুলিশ স্টেশনের যাত্রা শুরু হয় প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হাত ধরে। ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ইমলামাবাদে দেশটির প্রথম নারী পরিচালিত পুলিশ স্টেশনের উদ্বোধন করেন তিনি।
রাষ্ট্রের প্রয়োজনে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে এটা যেমন সত্য একটি বিষয়। ঠিক তেমনি কঠিন দায়িত্বর ক্ষেত্রেও নারী হয়ে উঠতে পারে পাথরন্যায় কঠিন। পাকিস্তানের পুলিশবাহিনীটি উক্ত বিষয়টি নিঃসন্দেহে নারীদের অনুপ্রেরণার রসদ যোগাবে। আলোকিত সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারী এই এক মহাশক্তির নাম।