Skip to content

২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিজারের পর বেল্ট ব্যবহারের উপকারিতা

সন্তান জন্ম দেওয়া একজন নারীর জীবনে অনেক  কঠিন একটা সময়। গর্ভবতী মায়ের সন্তান গর্ভে থাকাকালীন যেমন তার যত্ন নিতে হয় ঠিক তেমনি সন্তান জন্মদানের পরে তার অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেয়ে সিজার করলে মা ও সন্তানের যত্ন নেওয়া টা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। গর্ভধারণের পরবর্তী সময়ে ওজন এত সহজে কমে না। বিশেষ করে সিজারিয়ান হলে পেটের মেদ কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। যেকোনো ধরনের পেটের মেদ কমানো খুব সহজ নয় এবং সিজার করলে অবস্থাটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায়। কারণ, তখন স্ট্যান্ডার্ড অ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজ করা যায় না। বিকল্প উপায়ে সিজারের পরবর্তী পেটের মেদ কমানো যায়। 

 

সিজারের পর বেল্ট ব্যবহারে উপকার সমূহ

বেল্ট ব্যবহার কখন উপযুক্ত?

সিজারের পরে কোমরে বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। বেল্ট ব্যবহারে কোনো সমস্যা নয়। সার্জারির পর হাঁচি-কাশি ও টয়লেট ব্যবহার করার সময় বেল্ট ব্যবহার ভালো। এতে হাঁটতে সুবিধা হবে। নরমাল ডেলিভারির পর একদিন পর থেকেই বেল্ট পরা যায়। তবে সিজারের পর সেলাই শুকানোর পর থেকেই বেল্ট পরা যায়। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে অন্তত ৪০দিন পর্যন্ত বেল্ট ব্যবহার করা উত্তম।

 

বেল্ট ব্যবহারের সুবিধা

 

এটি পেটের চারপাশে আরামদায়ক টাইট একটি বন্ধনী হিসেবে কাজ করে। হালকা প্রেশারের কারণে পেটের থলথলে ভাব কমে যায়।

সিজারের সময় পেটের কয়েক স্তরের মাংস পেশি কেটে যায়। বেল্ট পরার ফলে প্রেশারের কারণে সেই পেশি জোরা লাগার দ্ধতি ত্বরান্বিত হয়।

বেল্ট ব্যবহার করলে নবজাতককে কোলে নিতে, দুধ খাওয়াতে, নাড়াচাড়া করতে সুবিধা হয় এবং ব্যথা কম হয়।

সিজারের পর নিয়মিত বেল্ট ব্যবহার করলে প্রথম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যেই জরায়ু পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে। কোমর ব্যথায় উপশম হয়।

কখন বেল্ট পরা যাবে না?

 

সিজারের পর ইনফেকশন থাকলে বেল্ট ব্যবহার করা যাবে না।

অতিরিক্ত টাইট করে বেল্ট ব্যবহার করলে হার্নিয়া হতে পারে বা ইন্টার্নাল ব্লিডিং হতে পারে। সেক্ষেত্রে বেল্ট ব্যবহারে সাবধান হতে হবে।

গরমের সময় বেশিক্ষণ বেল্ট ব্যবহার করলে বা ঘাম হলে ইনফেকশন হতে পারে বা রেশ অথবা চুলকানি হতে পারে।

প্রসবকালীন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বেল্ট ব্যবহারে সাবধান হতে হবে। অনেকের হার্টে চাপ পড়ে বুক ধড়ফড় করতে পারে। সেক্ষেত্রে বেল্ট ব্যবহার করা যাবে না।

সিজারের পর বেল্ট ব্যবহারে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

 

সঠিক মাপের বেল্ট ব্যবহার করতে হবে।

বেল্ট এমনভাবে বাধবেন যেন তা খুব বেশি শক্ত বা খুব বেশি ঢিলেঢালা না হয়। সহনীয় হয় এমনভাবে বাধবেন।

খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর বেল্ট বাঁধবেন। ঘুম এবং গোসলের সময় বেল্ট পরবেন না।

ইলাস্টিক ফাইবারের বেল্ট ব্যবহার করবেন। বেল্ট ভিজে গেলে ভেজা বেল্ট পরবেন না। এতে রেশ হতে পারে।

সিজারিয়ান অপারেশনের পরে কিছু দিন ভারী ব্যায়াম করতে পারবেন না বলে আপনি আপনার পূর্বের আকার ফিরে পাবেন না এমন ভেবে হতাশ হবেন না। ধৈর্য ধারণ করুন ও বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে নিন এবং চেষ্টা করুন।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ