Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ যাচ্ছে মহাকাশে!

বাংলাদেশ ইতিহাসের পাতায় প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট  হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠায়। পৃথিবীর ৫৭তম রাষ্ট্র হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করে বাংলাদেশ। ডিজিটাল যুগে প্রবেশের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপটি ছিল অসাধারণ। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন মাত্রা যুক্ত করতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার।

গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' -এর মাধ্যমে দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার শুরুর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএসসিএলের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল অনার্সের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী।

– এই তিনটি বিষয় নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরে তা পূরণে জাতিকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এগুলোর বাস্তবায়ন শুরু করেছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তা শেষ হবে।’

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের গৌরব অর্জন করি। গত দুবছরে আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের কারিগরি সহায়তায় কোন ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ছাড়াই নিরবচ্ছিন্নভাবে স্যাটেলাইট সেবা প্রদান করে যাচ্ছে সরকার। যা অত্যন্ত গর্বের বিষয় বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য।

স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা সবাই নিজ দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পেরে গৌরব অনুভব করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অচিরেই দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বিএসসিএলের সঙ্গে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দেশের ইতিহাসে মহাকাশ কেন্দ্রিক অগ্রগতি নিঃসন্দেহে দেশের শক্তি সার্মথ্যকে নির্দেশ করে। স্যাটেলাইট অগ্রগতি বৃদ্ধি করা গেলে উন্নত রাষ্ট্র গুলোর মত সামরিক খাতেও এই সুবিধা যুক্ত করা যাবে।নতুন এক গল্প রচিত হবে এই স্যাটেলাইট সেবা যুক্ত করার মাধ্যমে।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ