Skip to content

করোনার অপপ্রচার রোধে ইউটিউবের কঠোর অবস্থান!

করোনার অপপ্রচার রোধে ইউটিউবের কঠোর অবস্থান!

করোনা মহামারীর পর থেকে সারা পৃথিবীতে এক ভিন্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।মানুষের কাজের ধরনে বিরাট পরিবর্তন এসেছে।করোনা মহামারীর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ প্রতরণা করে আসছে।বিভিন্ন চটকদার মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষের আবেগ নিয়ে নিজেদের অর্থ বৃদ্ধি করছে।এই ব্যাপারটিকে ইউটিউব স্বাভাবিক ভাবে নেয় নি।

 

টিকা নিয়ে যে শুধু বাংলাদেশেই অপপ্রচার চলে বিষয়টা তেমন নয়। বিশ্বজুড়েই এমনটা চলছে।গত জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অনেকটাই দায়ী মানুষের টিকা নেয়ার ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টির জন্য, কেননা এই মাধ্যম অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়ে থাকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করার জন্য আবেদন জানান।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চলে যে, করোনার টিকা নিলে অটিজমের শিকার হওয়ার সুযোগ আছে, কেউবা প্রচার চালায় মহিলারা এই টিকা নিলে গর্ভধারণ করতে পারবেন না। আবার কেউ কেউ প্রচার চালায় করোনার টিকা নিলে হতে পারে ক্যানসার।

 

কিন্তু এসব তথ্যের কোনো ভিত্তি বা গবেষণা নেই। মানুষ অনুমানের ওপরই এসব প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল। ফলে অনেক সাধারণ মানুষ ভয়ে টিকা নিতে চাচ্ছিল না। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের ইসলাম বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকেও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি করোনার টিকা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছিলেন।

 

ফেসবুক গত ফেব্রুয়ারিতেই এ ধরনের প্রচার নিষিদ্ধ করে। আর মার্চে টুইটারও তাদের পলিসিতে এ ব্যাপারে আইন করে, কেউ যদি বারবার একই ধরনের অপপ্রচার করে তবে তাকে টুইটার থেকে বের করে দেয়া হবে। গুগলের মালিকাধীন ইউটিউবও অবশেষে সে পথেই হাঁটলো। তারা ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত ১৩০,০০০ ভিডিও মুছে ফেলেছে । এবং এ সংক্রান্ত বিষয় যুক্ত করে নতুন গাইডলাইন এনেছে।

 

তবে শুধু করোনাভাইরাসের টিকাই নয়, একইসঙ্গে পুরনো টিকা যেমন, হাম এবং হেপাটাইটিস বি টিকা নিয়েও যেসব ভিডিওতে অপপ্রচার চালানো হবে সেটাও মুছে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। টিকা নিয়ে সমালোচনা করা যাবে কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার নয়। যেকোনো টিকার সাফল্য এমনকি ব্যর্থতা নিয়েও ভিডিও প্রচার করা যাবে।

 

সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়ে ইউটিউব কাজ করতে চাইছে।তবে সম্পূর্ণ রূপে ভুল তথ্য সরানো সম্ভব হবে নাহ জানিয়ে বিভিন্ন সাইবার বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছে।ইউটিউব তাদের আইন পরিবর্তন করে কতটা সাফল্য অর্জন করবে নাকি প্রযুক্তির বেড়াজালে এই পদক্ষেপ পণ্ড হবে সেটি দেখা সময়ের ব্যাপার।