ইউরোপের মোবাইলের চার্জার হবে একই রকম
মোবাইল চার্জিং নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই। কোন একটি স্থান পরিবর্তনের পরে এই সমস্যা যেন প্রকট আকার ধারণ করে। ভ্রমণের পরে তো এ সমস্যার কারণে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠে ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা। এমন সমস্যা সমাধানের জন্য ইউরোপ মহাদেশে এক অনন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউরোপিয়ান কমিশন আইন করে বাধ্য করতে যাচ্ছে সকল ফোনে একই রকম চার্জার ব্যবহার করতে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে নষ্ট পণ্যের পরিমাণ কমানো।
কেননা একজন ব্যক্তি যদি তিনটি বা চারটি ফোন ব্যবহার করে থাকেন আর সেগুলো চার্জ দিতে যদি ভিন্ন ভিন্ন চার্জার দরকার পরে তাহলে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ বাড়বে। আর যদি টেক পণ্য ব্যবহার কমানো বা পুনরায় ব্যবহার করা যায় তাহলে খুব সহজেই কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব, যা একটি বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দেবে।
বর্তমানে বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে টাইপ-সি ইউএসবি চার্জার ব্যবহার করা হয়। তাই ইউরোপিয়ান কমিশন চাচ্ছে, ভবিষ্যতে যত ফোন বা ছোট ডিভাইস, যা চার্জ প্রয়োজন হয় সেগুলোর চার্জার হবে টাইপ-সি ইউএসবি চার্জার।
২০১৮ সালের একটি জরিপে দেখা যায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ব্যবহৃত অর্ধেক ফোনে ইউএসবি মাইক্রো-বি চার্জার ব্যবহার হতো, অন্যদিকে ২৯% ফোনে টাইপ সি-ইউএসবি চার্জার ব্যবহার হতো। এবং ২১% ফোনে লাইটনিং চার্জার ব্যবহার হতো।
উল্লেখ্য, আইফোন তাদের ফোনের জন্য লাইটনিং চার্জার ব্যবহার করে থাকে। ফলে এই নতুন আইনে স্বাভাবিকভাবেই আইফোন সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে। সেটা তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেও। আইফোন কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই আইন নতুন নতুন উদ্ভাবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যার প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের ওপর।
আইফোন কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তারা তাদের আইফোন বিক্রিলব্ধ অর্থ থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য ব্যয় করে। তবে ইইউ তাদের নিয়মের ব্যাপারে কঠোর। শুধু স্মার্টফোনই নয়, সকল ছোট ডিভাইসেও টাইপ-সি ইউএসবি চার্জার ব্যবহারের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে।
এমন একটি পদক্ষেপ নেয়া নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং হবে।তবে এর আওতায় আনা গেলে কার্বন নিঃস্বরণ কমানো অনেকটা সম্ভব হবে।