Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবিনা নিসার হত্যা নিয়ে ব্রিটেনে ক্ষোভ প্রকাশ

ব্রিটেনে সাধারণত কোনো শ্বেতাঙ্গ নারী যখন হত্যা বা এধরনের জঘন্য  ঘটনার শিকার হন,  ব্রিটিশ মিডিয়ায় সেটা নিয়ে তখন রীতিমতো ফলাও করে খবর প্রচারের তুলকালাম চলে। কিন্তু সাবিনা নিসার ক্ষেত্রে সেরকম কোনো খবর না দেখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মিডিয়া কভারেজ ও রাস্তাঘাটে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিটেন এখন তুমুল বিতর্কের মুখে। 

 

সাবিনা নিসা দক্ষিণ লন্ডনের একটি স্কুলের শিক্ষক। ২৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশী  গ্রিনিচ বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পড়াশোনা করেছেন। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় তার পৈতৃক বাড়ী। যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ারের একটি ছোট্ট শহর স্যান্ডিতে তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন । বাবা আবদুর রউফ স্যান্ডির একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। 

 

পুলিশের তদন্তে জানা যায় শুক্রবারে সাবিনা পার্কের ভেতর দিয়ে কাছেই এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়। আর তখনই সে খুন হয়। তবে হত্যাকারীকে এখনো পাওয়া যায় নি।  কয়েকজনকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছে।  তবে একজন সন্দেহভাজনকে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছে। যাকে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের থেকে পাওয়া একটি সিসিটিভিতে দেখা যায়। যে লোকটি হাতে কিছু একটা নিয়ে হাঁটছিলেন এবং ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সে মাথায় হুড টেনে তুলে দেয়। 

 

কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকায় ভেতরের পাতায় ছোট্ট করে নিউজ ছাপা হলেও তেমন ফলাও করে নিউজ হয়নি। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে গত কয়েকদিন ধরে এই ঘটনাটি ব্রিটিশ গণমাধ্যমের শিরোনাম দখল করে নেয়। 

 

কয়েক মাস আগে লন্ডনে একই ধরনের ঘটনার শিকার হন এক শ্বেতাঙ্গ নারী সারা অ্যাভারার্ড। তিনি রাতে বাড়ী ফেরার পথে পুলিশের হাতে অপহরণ হয় এবং পরে একটি পার্কে তার লাশ পাওয়া যায়। ঐ ঘটনাটি পুরো ব্রিটেনে সাড়া ফেলে দেয়। বহুদিন এই হত্যাকাণ্ডটি  ব্রিটিশ গণমাধ্যমের শিরোনাম দখল করেছিলো। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ঘরের বাইরে নারীর নিরাপত্তার দাবিতে অনেক বিক্ষোভও হয়। সেসব বিক্ষোভে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটনও যোগ দিয়েছিলেন। 

 

কিন্তু সাবিনা সংখ্যালঘু হওয়ায় তার ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায় না।  এমনকি সাবিনার ঘটনায় আবারো নারীদের ঘরের বাইরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পরবর্তীতে শুক্রবার সন্ধ্যায় যেখানে সাবিনার লাশ পাওয়া যায় তার পাশেই এক বিরাট প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। তাতে যোগ দেন শত শত মানুষ। সেখানে তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে সাবিনার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান দাবি করেন।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ