Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব নদী দিবস আজ

সময়ের সাথে সাথে  গ্রাম গুলো একে একে শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। শহর রূপান্তরের ছোঁয়ায় নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে এবং হারিয়ে ফেলছে তাদের স্রোতধারা। নদীগুলো যেন হারিয়ে ফেলছে তাদের চিরচেনা রূপ। তবে নদী হারিয়ে যাওয়ার মাঝে একটি দিবস যা কিনা মনে করিয়ে দেয় নদীর প্রয়োজনীয়তা।

 

আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘Day of Action for Rivers’.  

 

দক্ষিণাঞ্চলের পিরোজপুর জেলার কচা নদী, যে নদীর অপরূপ দৃশ্য নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গেয়েছিলেন- ও নদীরে, একটি কথা সুধাই শুধু তোমারে। বল কোথায় তোমার দেশ? তোমায় নেই কি চলার শেষ? দেশের সেই নদীগুলোর ওপর অত্যাচারের দূষণ-চিত্র সত্যি আজ ভয়াবহভাবেই প্রতিভাত হচ্ছে।

 

দখল হয়ে যাচ্ছে দেশের নদনদী। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার দেশের ৬৪ জেলায় নদী দখলদারের সংখ্যা প্রায় ৬৩ হাজার বলে হিসাব দিয়েছিলেন। কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯ এর প্রতিবেদনে নদী দখলদারদের সংখ্যা ৫৭ হাজার বলে উল্লেখ করা হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুজিবুর হাওলাদার এ তথ্য জানান।

 

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি নদী দখলদার খুলনা বিভাগে। সেখানে সংখ্যাটি ১১ হাজার ২৪৫ জন। নদী দখলদারের সংখ্যা সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ২ হাজার ৪৪ জন।  এসব দখলদারদের কজনকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে, সেটাই এখন প্রশ্ন।

 

বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের’ এক সভায় বর্তমান জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর বলেন- প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে কমিশন ৬০ হাজার দখলদারের তালিকা করেছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার উচ্ছেদ হয়েছে। কাজটা কিন্তু সহজ নয়। কারণ আপনারা জানেন নদী দখলদারেরা অনেক শক্তিশালী। তবে আইন তারচেয়েও শক্তিশালী, সরকারের হাত আরও লম্বা। নদী দখল করে কেউ পার পাবেন না।

 

নদীর প্রতি মানুষের টান সে অনেক আগের থেকেই। নদীকে তার আপন বেগে চলতে নাহ দেওয়া গেলে বিঘ্নিত হবে জনজীবন। নদী রক্ষাই এবারের নদী দিবসের মূলমন্ত্র।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ