মধুর গুনাগুণ ও উপকারিতা
মধুর রয়েছে হাজারো গুন। মধুর গুনাগুণ এর কথা বলে শেষ করা যাবে না। মধুর অসংখ্য গুনাগুণ আছে যা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কিন্তু অনেকেই আমরা এ সমস্ত গুনাগুণ সম্পর্কে জানিনা। তাহলে আজকে জেনে নেওয়া যাক মধুর সমস্ত গুণাবলি সম্পর্কে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে মধু। কারণ মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিমুখ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।
শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়। মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম যা দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
রক্ত উৎপাদন ও রক্তনালী পরিষ্কার করতে মধু অনেক বেশি কার্যকর। রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ হল আয়রন। আর এই আয়রন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে মধুতে। ফলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা-সহ রক্তের ইত্যাদি উপাদানগুলি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।মধু নিয়মিত খেলে রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। অর্থাৎ রক্তনালী পরিষ্কার থাকে। সেখানে দূষিত কোনো পদার্থ যা স্বাস্থ্য হানির কারণ তা জমতে পারে না। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
নিয়মিত মধু খেলে পাকস্থলীতে বাড়তি গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কের সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়। তার ফলে মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের জন্য বেশি মাত্রায় চাপ সৃষ্টি করে। ফলে মেদ কমে যায়। মধু হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মধুর মধ্যে থাকা উপাদানগুলি বদ হজম, বুক ও গলা জ্বালা ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া মাস্ক বা প্যাকে সামান্য মধু মিশিয়ে নিলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া মধুতে নিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-সেপ্টিক এজেন্টে ভরপুর থাকায়, ত্বক এবং চুলের জন্যও খুব উপকারী।
ঠোঁট ফাটা ও ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে মধু অনেক উপকারী।
১ চা-চামচ মধুর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। কিছুদিন ব্যবহারেই ঠোঁট গোলাপি, মসৃণ ও নরম হয়ে ওঠবে।