নারীর হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
সাধারণত নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষদের সাথে অধিকাংশ সময়ই মেলে না। বিশেষজ্ঞদের এমনটাই মতামত। উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান সহ আরো অনেক কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো জানা থাকলে খুব দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় এবং বড় ধরণের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । নারীদের হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ দেখে নেয়া যাক –
উদ্বেগ ও মানসিক চাপ
মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের জন্য একটি ঝুঁকির কারণ। অনেক নারীই হার্ট অ্যাটাকের আগে ভীষণভাবে মানসিক চাপের ভেতর সময় পার করেন। তাই উদ্বেগ থাকলে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করুন।
শ্বাস ছোট হয়ে আসা
ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মত না হলে ভালোভাবে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি অন্যতম কারণ। এ রকম হলে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘুমের অসুবিধা
অবসন্নতার পাশাপাশি ঘুমের অসুবিধা হয়। হার্ট অ্যাটাকের মাসখানেক আগে থেকেই কম ঘুমের সমস্যা হতে থাকে। তাই ঘুমের সমস্যা হলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না।
অবসন্নতা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর অন্তত ৭০ শতাংশ নারী অভিযোগ করেন, যে মাসে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, সে মাসে একটু বেশিই অবসন্ন লেগেছিল তাদের। এ সময়ে তাদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অবসন্ন লেগেছিল।
হজমে সমস্যা এবং বমি বমি ভাব
হার্ট অ্যাটাকের আগের সময়টায় সাধারণত পাকস্থলীতে ব্যথা, ইনটেসটাইনাল ক্রাম্প, বমি বমি ভাব এবং হজমে সমস্যা ইত্যাদি হতে দেখা যায়। তাই এ ধরনের বিষয় এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঠাণ্ডা লাগা ও ফ্লু হওয়া
অনেকেরই হার্ট অ্যাটাকের আগে ঠাণ্ডা ও ফ্লু হয়ে থাকে। এছাড়া ঘর্মাক্ত ত্বক বা মাথা ঘোরানোর সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যা সহজে সারতে চায় না। হার্ট অ্যাটাকের আগে এ রকম লক্ষণ দেখা যায়।
চোয়াল, কান, ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা ছড়ানো
অনেক নারীই বলেন, হার্ট অ্যাটাক হলে বুকের বাঁ পাশ ব্যথা শুরু হয়ে চোয়াল, কান, ঘাড় ও কাঁধের দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ সময় পেশিতে টানটান ভাব অনুভূত হয়। এসব সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।