কচ্ছপের বেঁচে থাকার রহস্য!
শান্ত স্বভাবের প্রাণী কচ্ছপের ব্যাপারে একটি কথা শোনা যায় তারা অনেক বছর বেঁচে থাকে। তবে তারা কেন এতো বছর বেঁচে থাকে সে ব্যাপারে কি আমরা জানি?
কচ্ছপকে সাধারণত ধীর গতি সম্পন্ন প্রাণী বলা হয়ে থাকে। কচ্ছপের খোলসের উপরের অংশকে বলে carapace এবং নিচের অংশকে বলে plastron. কচ্ছপ দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে।
হেলেনা দ্বীপে বসবাসকারী কচ্ছপ জোনাথন 183 বছর বয়সী। ক্রমেই দৃষ্টিশক্তি ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। সেটি খেত শুধু পাতা, ডাল ও ময়লা। ডঃ জো হিলসের নজরে আসায় তাকে শুশ্রূষা শুরু করলেন। খেতে দিলেন, আপেল, পেয়ারা, কলা, গাজর ও শসা। ক্রমশ কচ্ছপটি সুস্থ হয়ে ওঠে। এটিই এখন পর্যন্ত জীবিত কচ্ছপদের মধ্যে সর্ববরিষ্ঠ।
একটি কচ্ছপের আকার কয়েক সেন্টিমিটার থেকে 2 মিটার পর্যন্ত হয়। পৃথিবীতে প্রায় 300 প্রজাতির কচ্ছপ আছে।
কচ্ছপের দীর্ঘায়ু হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ আছে।
প্রথমত, এদের শক্তিশালী খোলস এদের আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।এরা মনুষ্য সমাগম থেকে অনেক দূরে থাকে। অন্যান্য শিকারি প্রাণী এদের পছন্দ করে না। কাজেই এরা নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে পারে।
প্রয়োজন মতো এরা শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস কিংবা বৃদ্ধি করতে পারে যা জীবন ধারণের সহায়ক। একমাত্র তরুণ কচ্ছপই প্রজনন করে, বৃদ্ধগুলো নিষ্ক্রিয় থাকে, যা দীর্ঘ জীবনের পরিপূরক।
সর্বাপেক্ষা যুক্তিসঙ্গত কারণ বের করেন জার্মান শারীরবৃত্তবিদ রাবনার 1908 খ্রিস্টাব্দে। তিনি জানান, ধীর বিপাক প্রক্রিয়ার ফলে কচ্ছপ দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে। এক্ষেত্রে ইংরেজিতে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে : " Live fast, die young."