Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টুথপেস্টের পরিবর্তে বিকল্প কি হতে পারে?

আখ বা আখের রস হলো প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার যা আমাদের শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করে না বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ করে। আজকে আমরা জেনে নিবো আখের মহামূল্যবান গুনাগুণ। আমাদের সকলের আখ বা আখের গুনাগুণ সম্পর্কে জানা দরকার। এতে আমরা অনেক রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি। তাই আমাদের আখের উপকারিতা ও অপকারিতা কি জানতে হবে।

পেটের সমস্যা বা ডিহাইড্রেশন এর জন্য আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ জল বেরিয়ে যাচ্ছে? তাহলে এক গ্লাস আখের রস পান করুন এর কারণে আমরা সাথে সাথে অনেক শক্তি পেতে পারি। কারণ আখের রসে আছে চিনি বা গ্লুকোজ যা শরীরে খুব সহজেই শোষিত হয় এবং শরীরকে রি-হাইড্রেট করে সতেজ করে তোলে।

দাঁত ভালো রাখতে আখের রস খুবই উপকারী। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান দাঁত ক্ষয় এর হাত থেকে বাঁচায় এবং দুর্গন্ধ যুক্ত নিঃশ্বাস এর বিরুদ্ধে কাজ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বাড়ন্ত শিশুরা যদি আখের রস চিবিয়ে পান করে তাহলে তার দাঁতের সমস্যা অনেকটাই লাঘব হয়।

লিভারের কার্যকারিতা কমে গেলে অর্থাৎ পিত্তরস জমে গেলে আমরা জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। আখের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইমিউন সিস্টেম এবং লিভার সংক্রামণ হওয়া থেকে বাঁচায়। গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রেখে রোগ নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আখের রস বেশ উপকারী। জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীরা দুবেলা আখের রস অবশ্যই পান করুন কারণ এটি শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করার পাশাপাশি বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

এছাড়া আখ ত্বকের যত্নেও উপকারী ভূমিকা পালন করে। সপ্তাহে একদিন আখের রসের সাথে মুলতানি মাটি ও নিমপাতা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করার পরে ভেজা নরম তোয়ালে দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে মুছে ফেলুন। দেখবেন আপনার ব্রণের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে।

নিয়মিত আখের রস সেবনে মূত্রনালির ইনফেকশন দূর হয়। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যালকালাইন যা এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। শরীরের প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে কিডনি সুস্থতা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন আখের রস পান করুন। আখের রসে থাকা পটাশিয়াম এবং ফাইবার হজম শক্তি কে দ্রুত বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতন সমস্যাকে সহজেই দূর করে ফেলে। হজমের সমস্যায় ভুগছেন প্রতিদিনের খাদ্যের রুটিনে যদি এক গ্লাস আখের রস রাখেন তাহলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন।

বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে প্রচণ্ড গরমে আখের রস পান করলে কেবলমাত্র যে আপনার পিপাসা নিবারণ হবে শুধু তাই নয় শরীরের শক্তি বা এনার্জিও বৃদ্ধি পাবে। ভিটামিন এবং মিনারেল আখের রসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই দুইটি এলিমেন্ট একদম পারফেক্ট।

এই কারণে প্রতিদিন আখের রস সেবন, শরীরের মধ্য থেকে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলে। ফলে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এই আখের রসকেই প্রধান চাবিকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়। আখের রস খেতে হলে বাড়িতে তৈরি করে খাবেন। মনে রাখবেন রাস্তায় নোংরা যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি করা আখের রস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।  

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ