আজ ফেলুদা’র জন্মদিন
‘ফেলুদাখ্যাত’ জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্মদিন আজ। বাংলার অভিনয় জগতের একটি অতি পরিচিত নাম সব্যসাচী চক্রবর্তী। ছোটপর্দা ও বড়পর্দা উভয় পর্দাতেই তার অবাধ যাতায়াত রয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে আজ পর্যন্তও তিনি অভিনয় জগৎ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সব্যসাচী চক্রবর্তী ১৯৫৬ সালে ৮ ই সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করে। তার পিতার নাম জগদীশ চক্রবর্তী ও মাতার নাম মনিকা চক্রবর্তী। তার মা তাকে ভালোবেসে 'বেনু' বলে ডাকতেন। তখন থেকেই আজ পর্যন্ত তিনি বাংলায় 'বেনুদা' নামে পরিচিত।
তিনি জোছন দস্তিদারের "তেরো পার্বন" সিরিয়াল থেকে পশ্চিমবাংলার একজন পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। তিনি "রুদ্র সেনের ডায়েরি" টেলি-সিরিজে প্রথম গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর থেকে তিনি গোয়েন্দা চরিত্রে সাবলীল হয়ে ওঠেন । এরপর তিনি 'চতুরঙ্গ', 'কাকাবাবু হেরে গেলেন', 'অন্তর্ধান', 'রক্তমুখী নীলা', 'রয়েল বেঙ্গল রহস্য', গোরস্থানে সাবধান' প্রভৃতি বিভিন্ন চমৎকার চলচ্চিত্র আমাদের উপহার দিয়েছেন।
শুধু সিনেমা নয় "একাকী অরণ্যে", "উড়নচণ্ডী"-র মত কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিকও আমাদের উপহার দিয়েছেন। বাংলা সিনেমা ছাড়াও তিনি হিন্দি ও তামিল ছবিতে কাজ করেছে।
তার সব থেকে উল্লেখযোগ্য চিত্রায়ন সত্যজিত রায়ের 'ফেলুদা'। ফেলু মিত্তিরের চরিত্রটা যেন সব্যসাচী চক্রবর্তীকে ঘিরেই। সন্দীপ রায়ের "বাক্স রহস্য" টেলিফিল্ম এবং ফেলুদার উপর টেলিফিল্ম সিরিজে অভিনয় করার পর তিনি ফেলুদার ভূমিকায় "বোম্বাইয়ে বোম্বেটে" সিনেমায় কাজ করেন। তার অসাধারণ 'ফেলুদা' চিত্রায়নের পরে বাঙালি দর্শকরা তাকে ফেলুদা নামেই চিনে।
দশটি টেলিফিল্ম এবং ছয়টি সিনেমা মিলে মোট ষোল বার তাকে এই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও ফেলুদা চরিত্রে পূর্বে অভিনয় করেছিলেন। তবুও সব্যসাচী চক্রবর্তী সাবলীল অভিনয় ও অসাধারণ গাম্ভীর্যপূর্ণ বাচনভঙ্গির কারণে আজীবন "ফেলুদা" হিসাবে দর্শকদের মনে জায়গা করে থাকবেন। এছাড়াও তিনি কালাকার পুরষ্কার ও আনন্দলোক পুরষ্কার পান।