ঘরোয়া উপায়ে ফেসিয়াল
ত্বক ভালো ও পরিস্কার রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফেসিয়াল। এটি মুখের ত্বককে এক্সফোলিয়েট এবং হাইড্রেট করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি বিভিন্ন দাগ দূর করে। নিয়মিত ফেসিয়াল করলে ত্বক পরিষ্কার হয়। সেই সঙ্গে ত্বক বেশ নরম ও মসৃণ হয়। অনেকেই আছেন যাদের ফেসিয়াল করতে পার্লারের উপরই নির্ভর করতে হয়। তবে পার্লারে যাওয়া সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাছাড়া বেশ খরচ সাপেক্ষও। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে বাড়িতেই ফেসিয়াল করতে পারেন। বাড়িতে ফেসিয়াল করার ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অনসুরণ করতে পারেন।
১ম ধাপ-ফেস ক্লিনজিং
ত্বকের পরিচর্যার আগে সবসময় সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করা উচিত। ফেসিয়ালের আগে ধুলো-ময়লা বা মেকআপ তোলার জন্য মুখ সঠিকভাবে পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ওয়াইপস বা মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। তারপর, ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
২য় ধাপ-এক্সফোলিয়েশন
ফেসিয়ালের দ্বিতীয় ধাপ হল, এক্সফোলিয়েট করা এবং মৃত ত্বক অপসারণ করা। এটি ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য বৃত্তাকার গতিতে মুখ ও গলায় আলতো করে ঘষুন। কমপক্ষে এক বা দুই মিনিট স্ক্রাব করুন এবং হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩য় ধাপ-ম্যাসাজ
রক্ত সঞ্চালন এবং পেশি টান উন্নত করতে ম্যাসাজ অপরিহার্য। এজন্য পরিমাণ মতো ফেস ম্যাসাজ ক্রিম নিন। এবার কপালের মাঝখান দিয়ে শুরু করুন এবং তারপরে ধীরে ধীরে গাল, নাক এবং থুতনি ম্যাসাজ করুন। সবশেষে, ঠোঁটের ওপর ম্যাসাজ করুন এবং চোয়ালের দিকে ম্যাসাজ করুন। গলাও ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না, কারণ এটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভালো করে ম্যাসাজ করার পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪র্থ ধাপ-ভাপ নিন
এক্সফোলিয়েশন এবং ম্যাসাজ করার পরের ধাপ হল ভাপ নেওয়া। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলি খুলতে এবং এর ভিতরে আটকে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। যাদের খুব ব্রণ হয় তাদের জন্য এই ধাপটি খুবই উপকারী। যদি আপনার বাড়িতে স্টিমার না থাকে, তাহলে একটি বড় বাটিতে পানি ফুটিয়ে ভাপ নিতে পারেন। এই সময় তোয়ালে দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে রাখবেন। ৫-১০ মিনিট ভাপ নিলে উপকার পাবেন।
৫ম ধাপ-ফেস মাস্ক
ফেস মাস্ক ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এর জন্য, শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন বা বাড়িতে নিজেই মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
৬ষ্ঠ ধাপ-টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং
ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হল টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। এজন্য একটি তুলোর প্যাড নিন, তাতে অল্প পরিমাণে টোনার ঢেলে পুরো মুখে লাগান। তারপর মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। মুখ এবং গলায় আলতো করে ক্রিম ম্যাসাজ করুন।