যে সকল খাবার শিশুর বিকাশে সাহায্য করবে
শিশুরা অনেক প্রাণবন্ত এবং চঞ্চল ধরনের হয়ে থাকে। এই বয়স টা হল তাদের বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
তাই এই বয়সী শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে খাবারের প্রতি। বাচ্চারা এমনিতেই বেশি খেতে চায় না। সারাক্ষণ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের পিছনে খাবার নিয়ে রীতিমতো ম্যারাথন দৌড় দিতে হয়।
তাই বাচ্চাদের বিকাশ যাতে ভাল হয় সেক্ষেত্রে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার তাদের খাওয়াতে হবে প্রতিদিন। যে সকল খাবারে তাদের মেধার বিকাশ ভালো হবে, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং সেই সাথে এনার্জি ও দ্বিগুণ হবে সেই সকল খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়।
এই বয়সে যেমন বাচ্চারা কিছু খেতে চায় না, তাই তাদের খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার গুলোকেই একটু মজা করে এবং অন্য ভাবে তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। খাবার গুলো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তাদের সামনে পরিবেশন করলে এতে তাদের খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
বিভিন্ন ধরনের সবুজ ফল-ফলান্তি খাওয়াতে হবে। সবুজ ফল-ফলান্তি ও শাক-সবজি তে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ,বি,ওমেগা, আঁশ ইত্যাদি। যা সবই বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সাহায্য করবে।
প্রতিদিন খাবারে রাখতে হবে প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন, দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, পনির, ইত্যাদি। প্রোটিন যুক্ত ফল যেমন, পেয়ারা, কলা, তরমুজ, খেজুর ইত্যাদি রাখতে হবে। এর পাশাপাশি অন্য খাবার ও রাখতে হবে।
চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন, কাজু বাদাম, আখরোট, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।এতে করে শিশুর বিকাশ ভালো হবে।
দিনে অত্যন্ত একবার দই খাওয়াতে পারেন বাচ্চাদের। এক্ষেত্রে বাসায় বানানো দই হতে পারে বেস্ট। কেননা বাসায় বানানো খাবার থাকে ভেজালমুক্ত যা বাচ্চাদের জন্য ভালো। তাই বাচ্চাদের বিকাশ যাতে সঠিক ভাবে হয় সেটা নিশ্চয়তা করতে হলে,খেলাধুলার পাশাপাশি তার খাদ্য অভ্যাস এর দিকে ও সমান ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।