কিটো ডায়েট করলে হতে পারে প্রাণঘাতী রোগ
শরীরচর্চা করা হয় নিজেকে সুস্থ এবং ভালো রাখার জন্য। এক্ষেত্রে এক এক জন এক এক রকমের খাবার বেছে নেন শরীর কমানোর জন্য। সবার একটাই ভাবনা আর সেটা হলো কীভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায়? তাই দ্রুত ফলাফল পেতে অনেকেই বেছে নেয় ভুল প্রন্থা। যার ফলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যাচ্ছে কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে শরীরের ভিতরে। যা সকলেরই প্রায় অজানা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল যেটা করে সবাই সেটা হলো 'কিটো ডায়েট'। 'কিটো ডায়েট' প্রত্যেকটি মানুষের মুখে মুখে।
কেননা এতে খুব দ্রুত ওজন কমে।ফলে বেশি দিন কষ্ট করতে হয় না। কিন্তু এই 'কিটো ডায়েট' এর কারণে যে কিছু প্রাণ ঘাতী রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে তা কি জানেন? অনেক গবেষোকরাও 'কিটো ডায়েট' কে প্রাণ ঘাতী বলেছেন। তারা বলেছেন ওজন কমানোর সঠিক পন্থা হলো পুষ্টিকর এবং ভালো খাদ্য ডায়েটের তালিকায় রাখতে হবে। তাহলেই কমবে সঠিক ভাবে ওজন। 'কিটো ডায়েট' এ কার্বোহাইড্রেট থাকে না। থাকে প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন এবং চর্বি । যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই আজ জানাবো 'কিটো ডায়েট' শরীরের কি কি ক্ষতি এবং রোগ দেখা দেয়।
১) 'কিটো ডায়েট' এর ফলে হতে পারে ডায়াবেটিস এর সমস্যা। যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস আছে,তাদের ক্ষেত্রে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়াও ক্যান্সার সহ হৃদরোগ ও হতে পারে। তাই ' কিটো ডায়েট ' কে না বলুন।
২) 'কিটো ডায়েট' মানেই হলো না খেয়ে উপোষ থাকা এবং যে যে খাবার গুলো আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন তা গ্রহন না করে বাকী সব খাবার গ্রহনের ফলে রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বৃক্ককে একেবারেই অকেজো করে ফেলে। ফলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা।
৩) অনেক সময় দেখা যায় যারা গর্ভবতী তারাও এই পদ্ধতি ফলো করে থাকে। যাতে গর্ভবতী থাকা অবস্থায় বেশি মুটিয়ে বা শরীর ফুলে না যায়। এক্ষেত্রে গর্ভের বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কেননা এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেইট থাকে না যার কারণে বাচ্চার নিউরাল লোব অপক্ক রয়ে যায়।
৪) 'কিটো ডায়েট' এর ফলে শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পরে ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।
'কিটো ডায়েট' কে আজ থেকেই বলুন "না"। এটি আপনার ভালো করলেও ক্ষতির পরিমাণ টাই কিন্তু অনেক বেশি করে থাকে। তাই সঠিক খাদ্য গ্রহন করে শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন।