Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলুর যত গুনাগুণ

আলু আমাদের অতি পছন্দের একটি সবজি বা খাদ্য। আলু এমন একটি সর্বজনীন সবজি যা কি না বিভিন্ন পদের বাহারি রান্নাতে ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধু স্বাদেই নয়, আলুর আছে নানা পুষ্টিগুণ। অনেকেই মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে আলু খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন। তবে পরিমিত আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং ভালো।  

আলুতে প্রচুর পরিমাণে আছে মিনারেল, ভিটামিন, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। বর্তমানে অনেকেই কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন। এ কারণে খাদ্যতালিকা থেকে আলু খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। তবে আলু খেয়েও বিভিন্ন রোগ সারানো যায়।

 

 

১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তার সঙ্গে প্রয়োজন বেশি পরিমাণে পটাসিয়াম। আলুতে এ দুটি উপাদানই সঠিক পরিমাণে থাকে বলেই রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

 

২। আলুতে থাকে ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি ৬, যা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে। কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ থাকলে হার্টও সুস্থ থাকে।

 

৩। আলু খেয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করাও সম্ভব। কারণ আলুতে আছে ফোলেট যা ডি.এন.এ. তৈরি ও মেরামত করতে সাহায্য করে। এর ফলে যেসব কোষ ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়াও আলুতে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার মুক্ত করতে সাহায্য করে।

 

৪। আলুতে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক, এসব উপাদান  হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ফলে আলু শরীরের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আলুতে আছে ফসফরাস যা অস্টিওপরোসিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

 

৫। আলুতে থাকা ফাইবার শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। 

 

৬। কিডনির স্টোন থেকেও মুক্তি মেলে আলু খেলে। হজম ক্ষমতা ও পাচনতন্ত্র সঠিক থাকলে শরীরে পানির পরিমাণও সঠিক থাকে। এর ফলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমে।

 

৭। দাঁত বা মাড়ির সমস্যা দূর করে ভিটামিন সি। তাই এক টুকরো আলু দিয়ে রোজ দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের নানা সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

৮। পেটের নানারকম সমস্যা যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয় বা হজম সমস্যায় আলু সেদ্ধ করে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

 

৯। আলুতে যে পরিমাণ ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইসিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর ফলে গা, হাত, পা বা শরীরের কোনো অংশ ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় না।

 

১০। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে আলু। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যে কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম ও গ্লুকোজ খুব জরুরি। এসব উপাদান থাকায় আলু খেলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।

 

১১। আলুতে থাকা ভিটামিন এ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা এ সময় খুবই জরুরি।

 

১২। ওজন বাড়ার চিন্তায় অনেকেই খাদ্যতালিকা থেকে আলু বাদ দেন। তবে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় অল্প পরিমাণ আলু রাখলে ওজন দ্রুত কমবে। কারণ আলুতে কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে এবং বেশি ফাইবার থাকে। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।

 

১৩। আলুতে থাকা ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, মিনারেল ও পটাসিয়াম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ সাহায্য করে। এর ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

 

১৪। শরীরে সঠিক পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম আপনার শরীরকে ভারসাম্য ও আরাম প্রদান করে। যার ফলে স্নায়ু শান্ত হয় ও নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায়। তাই অনিদ্রা বা কম ঘুমের সমস্যা থাকলে আলু খেলে উপকার পাবেন।

 

১৫। নারীদের মাসিক হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। আলুতে থাকে সঠিক পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টি পদার্থ, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ওই সময় মেজাজ খিটখিটে হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়াও শরীরে তখন কম পরিমাণে এস্ট্রোজেন থাকায় হরমোনের নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় আলু খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ