Skip to content

১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যা খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়বে

লোহিত রক্তকণিকার আয়রন সমৃদ্ধ প্রোটিনের নাম হিমোগ্লোবিন। এটি সমস্ত শরীরে অক্সিজেন সরবারহ করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কমে গেলে দুর্বলতা, অবসাদ, শ্বাস কষ্টের সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, ঝিম ধরা এবং হৃদস্পন্দনের মত সমস্যা দেখা দেয়। সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা জরুরী। 

 

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ আয়রনের ঘাটতি। হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে কলিজা, ডিম, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কিসমিস, আমন্ড, খেজুর, শতমূলী, জলপাই, কুমড়ার বিচি, আমলকি, আখরোট ইত্যাদি। 

 

ভিটামিন সি: ভিটামিন-সি এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন-সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরি ভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ফুলকপি, ব্রোকলি, আঙ্গুর, টমেটো, মরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। 

 

ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিড এক প্রকার ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয়  একটি উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। 

 

আপেল: প্রতিদিন একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরও নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ আপেল খেতে পারেন।

 

ডালিম: আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের জুস খান। 

 

বিট: হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম। বিটের পুষ্টিগুণ শরীরে রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।

 

আলু: শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে আলু খাওয়া উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন-সি থাকে। তাই আলু শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

 

সুষম খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম খুবই প্রয়োজনীয়। শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এইসমস্ত খাবারগুলি হিমোগ্লোবিনের অভাব পূরণ করে, তবে এমন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ মতই খাবার ও প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়া দরকার। 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ