লোম পরিষ্কার করতে ক্রিমের ক্ষতিকর ব্যবহার
লোম পরিষ্কার করতে অনেকেই পার্লারের অনেক টাকা খরচ করছেন। আবার অনেকেই ঘরে বসেই বাজার থেকে কেনা ক্রিম দিয়েই পরিষ্কার করে নিচ্ছেন লোম। বিশেষ করে হাত,পায়ের এবং মুখের লোম তুলতেই ব্যবহার করা হয় ক্রিমের।
অতিরিক্ত লোম সত্যি অসহ্যকর । তাই তো সবাই এখন ক্রিমের ব্যবহার করে অতিরিক্ত লোম পরিষ্কার করে ফেলে। কিন্তু আপনি কি জানেন? বিভিন্ন জাতের যে ক্রিম গুলো লোম উঠানোর কাজে ব্যবহার করা হয় তা চামড়ার ক্ষতি করে থাকে অনেক? কম সময়ে দ্রুত লোম পরিষ্কার করা যায় বলেই সবাই এই ক্রিমের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তাই আজ জানবো এর ক্ষতিকর দিক সমূহ।
তাহলে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক :
১) সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি হয় তাহলো , যে স্থানে ক্রিমটি ব্যবহার করা হয় সেই স্থান কালো করে ফেলে ধীরে ধীরে। এই ক্রিমের মধ্যে যে উপাদান থাকে ক্যালসিয়াম হাইড্রুক্সাইড যা শরীরের লোম কে নরম করে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং একটা সময় তা স্কিন কে কালো করে দিতে সহায়তা করে ধীরে ধীরে।
২) লোম পরিষ্কার করার ক্রিম ব্যবহারে লোম পরিষ্কার হয় ঠিকই কিন্তু পরিষ্কার হওয়ার পর সেই স্থানে ব্যাপক জালাপোড়া করে। এতে করে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে , যা দীর্ঘস্থায়ী হতেও পারে। এই ক্রিমে যে উপাদান থাকে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড তা ত্বককে পুড়িয়ে দিতে যথেষ্ট।
৩) ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে না এই ক্রিম ব্যবহারে । এটি ত্বকের যে গ্লো , সেটা নষ্ট করে দেয় । ফলে ত্বকের ভারসাম্য বজায় থাকে না। এতে করে ত্বক রুক্ষ হয় এবং জালাপোড়া করে।
৪) লোম উঠানো ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে কিছুটা আগে যে কোনো স্থানে লাগিয়ে নিন। যদি স্কিনে কোনো জালাপোড়া না করে তাহলে ব্যবহার করুণ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারের ফলে অ্যালার্জিও হয়ে থাকে। আর যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫) এই ক্রিমগুলোর গন্ধ খুবই কড়া। তাই অনেকের এটি ভালো নাও লাগতে পারে। যাদের কাছে এই গন্ধ ভালো লাগে না বা অনেক কড়া লাগে তাদের ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা এতে করে গন্ধটা আপনার ভিতরে গিয়ে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
বাজারে প্রায় অনেক ব্র্যান্ডের লোম পরিষ্কার করার ক্রিম রয়েছে । এইগুলো তেমন একটা ভালো না। বিপদজনক কিছু না হলেও এটি ব্যবহার করলে, পরে একটা সময় দেখা দিবে ত্বকজনীত নানা সমস্যা। তাই এই জাতীয় ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।