মুখের দাগ কমাতে করনীয়
রোদে পোড়া দাগ, মেছতা, অ্যাকনে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা অথবা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের সবার মুখেই কোন না কোন দাগ থেকেই যায়।এসব দাগের জন্য মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। মেকআপ করে এসব দাগ কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রাখা যায় কিন্তু একবারে দূর করা যায় না।
করোনা কালীন সময়ে যতটা সম্ভব আমরা পার্লারে না যাওয়ার চেষ্টাই করবো। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে মুখের দাগ দূর করা যায় সেটা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
পাতিলেবুতে সাইট্রিক এসিড রয়েছে যা যেকোন দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পাতিলেবুর রস মুখে লাগিয়ে দাগ সহজেই দূর করা যায়। কিন্তু যদি ত্বক সেনসিটিভ হয় তাহলে লেবুর রসের সাথে পানি অথবা মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
দাগ নিরাময় করতে আলু অনেক কার্যকরী। আলুর রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং আছে যা দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আলুর রসের সাথে মধু যোগ করে নিলে ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে।
কমলালেবুতে ভিটামিন সি আছে এবং ভিটামিন সি দাগ দূর করতে সাহায্য করে।এছাড়া কমলালেবুর খোসা স্ক্রাব হিসাবে অনেক ভালো। এটি ত্বকের রিনিউয়াল পদ্ধতি ত্বরান্বিত করতেও সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সাথে দুধ ও অল্প পাতিলেবুর রস মিশিয়ে স্ক্রাব হিসাবে নিয়মিত ব্যাবহার করলে ত্বকের দাগছোপ দূর হয়।
অ্যালোভেরার রস মুখের দাগের উপর প্রতিদিন ব্যবহার করলে মুখের দাগ মুছে যাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। অ্যালোভেরা দিয়ে মাস্ক ব্যাবহার করা যায়। অনেকেরই অ্যালোভেরাতে এলার্জি হয়, যাদের অ্যালোভেরাতে এলার্জি হয় তাদের অ্যালোভেরা ব্যবহার না করাই ভালো।
দুধ ত্বক উজ্জ্বল ও দাগহীন করতে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে। দুধ ও মধু একসাথে মিশিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে ১২-১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত কয়েকদিন ব্যবহার করলে দাগ উঠে যাবে।
টমেটোর রস মুখের দাগ কমাতে সাহায্য করে। টমেটো কেটে মুখে হালকাভাবে ঘষতে থাকুন, ১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
গোলাপের পাপড়ি গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। দিনে যতবার মুখ ধোবেন ততবারই এই পানি ব্যবহার করবেন। তাহলে ত্বক উজ্জ্বল ও দাগহীন হবে। ঘুমানোর আগে গোলাপ জল ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে ঠোঁটের কালচে ভাবও দূর হয়।
এসব ১-২ বার ব্যবহার করলেই যে সাথে সাথে দাগ চলে যাবে এমন কিন্তু নয়। ধৈর্য ধরে নিয়মিত কিছুদিন এসব উপকরণ ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন আশা করি।