Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপচর্চায় কলার খোসা

কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর ও অনন্য স্বাদের হওয়ায় সকলেরই পছন্দের ফলের তালিকায় থাকে। বিশেষ করে যারা ডায়েট করেন তাদের খাবারের তালিকাতে কলা বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকে। শুধু খাবার হিসেবেই না রূপচর্চাতেও কলা বেশ উপকারী। কলা তো ব্যবহার করা হয় তাহলে কলার খোসা কি ফেলে দেওয়া হয়? না, কলার খোসাও কাজে লাগানো হয়।

 

কলার পাশাপাশি কলার খোসাও রূপচর্চায় কাজে লাগানো হয়। কলার খোসায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং মিনারেল। ফলে কলা খাওয়ার পরে কলার খোসা ফেলে না দিয়ে তা কাজে লাগানো যায় এবং অল্প খরচেই রূপচর্চা করা যায়।

 

রূপচর্চায় কলার খোসার ব্যবহার

 

তেল তেল ভাব দূর হয়ে গেছে এবং চোখের নিচে পড়া কালো দাগও দূর হয়ে গেছে।

 

কলার খোসা ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়ার ক্ষমতা রাখে, ফলে দাঁতের যত্নেও কলার খোসা বেশ উপকারী। দাঁতে ছোপ দাগ থাকলে কয়েক দিন ভালো করে কলার খোসা ঘষুন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দাঁত ঝকঝকে হয়ে গেছে দেখা যাবে।

 

কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর জন্য কলার খোসা ঠোঁটে ঘষলে ঠোঁটের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং ঠোঁটে লিপবাম লাগালে ঠোঁট যেমন চকচকে করে কলার খোসাও ঠিক একইভাবে কাজ করে।

 

মশা কামড় দিলে কামড়ের জায়গা টা চুলকানোর ফলে লাল দাগ পড়ে যায় এবং অনেক জ্বালা করে। এই জ্বালা ও লাল দাগ দূর করতে মশার কামড়ের জায়গাতে কলার খোসা ঘষুন। এতে করে জ্বালাও কমে যাবে দাগ ও দূর হয়ে যাবে।

 

আঁচিল মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। অনেকেই এমন আছেন যাদের মুখে ঘনঘন আঁচিল হয়। আঁচিল প্রতিরোধে কলার খোসার সাদা অংশ ঘষুন। এরপর এক টুকরো কলার খোসা নিয়ে আঁচিল এর উপর রেখে ব্যান্ডেজের কাপড় দিয়ে মুড়ে দিন। এভাবে কিছুদিন করলেই দেখা যাবে আঁচিল কমে যাবে।

 

বলিরেখা ও সূক্ষ্ণ রেখার সমস্যা দূর করতে কলা নিয়মিত খাওয়া উচিত। এছাড়া কলার খোসা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বা সিলপাটায় বেটে নিয়ে একটা ডিমের কুসুমের সাথে মিক্সড করে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

 

কলা খাওয়ার পাশাপাশি কলার খোসা আবর্জনায় না ফেলে সেটা দিয়ে ত্বকের যত্ন নিন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বককে ভালো রাখবে।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ