Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজর জুসের উপকারিতা

গাজরের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। চোখের জ্যোতি বাড়ানো থেকে শুরু করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে গাজর। এ ছাড়াও আছে অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। সালাদ, রান্নায়, সবজি, গাজরের হালুয়া  হিসেবে গাজর ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজর থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে হলে, কাচা গাজর খাওয়াই সর্বোত্তম। তাই গাজরের জুস বানিয়ে খেলেই পাওয়া যাবে গাজরের সর্বোচ্চ পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে কয়েকগুণ।

মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি
গাজরের বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে চৌকস করে তুলতে সাহায্য করবে। এছাড়া মানসিক চাপ দূর করে মনে প্রশান্তি এনে দিতেও অসাধারণ কাজ করে এই কমলা রঙের ফলটি।

 

হার্টের সুরক্ষায়
হার্টকে সুস্থ রাখতে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম রাখা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চাপ মুক্ত থাকাটা বেশ জরুরি। গাজর ডায়েটরি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। সুস্থ থাকে হার্ট।

 

কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস অনেক উপকারী। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালোরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাজর খেলে ফ্যাট বার্ন হয় সহজেই। ফলে ওজন কমে। তাই শরীর চর্চার পর বা সকালে হাঁটার পর এই জুস খেলে কার্যকারী উপকার পাওয়া যাবে।

 

ক্যান্সার প্রতিরোধে
হজম প্রক্রিয়া শেষে খাদ্যের যে উচ্ছিষ্টাংশ গুলো আমাদের শরীরে থাকে সেগুলোকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বা মৌল বলে। এই ফ্রি র‍্যাডিকেলস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার এই ধরনের মৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। শরীরে ক্যানসারের কোষ জন্ম নেওয়ার প্রবণতা কমে যায়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’, ৯ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন ‘বি-৬’ পাওয়া যায়। এগুলো এক হয়ে ফ্রি র‍্যাডিকেলস বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

 

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহায়ক
গাজরের মধ্যে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে গাজরের জুস।

 

লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
গাজরের জুস দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে সক্ষম। প্রতিদিন মাত্র ১ গ্লাস গাজরের জুস পান করলে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

 

ভিটামিনের জোগান
ভিটামিন এ-এর অন্যতম উৎস হলো গাজর। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ইত্যাদির মতো সমস্যার সমাধান করে গাজর।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে গাজরের জুস। গাজরের জুস হাড় গঠন, স্নায়ুর নানা সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

 

গর্ভাবস্থায় খুব উপকারি
গর্ভাবস্থায় মায়েদের ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন সি এর চাহিদা বেড়ে যায়। গাজর এই সবগুলো উপাদানে ভরপুর।

 

উজ্জ্বল ত্বক
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি আছে গাজরে। এই উপাদানগুলো ত্বককে সতেজ রাখে, সেই সঙ্গে ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে।

 

হজমশক্তি বাড়ায়
গাজর আমাদের দেহের টক্সিন দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী একটি খাদ্য। সেই সাথে এটি আমাদের পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করতেও সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস গাজরের জুস আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

 

ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে
গাজরের বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সহায়তা করে। সেকারণে নানা ধরণের রোগ থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ