রূপচর্চায় শসার ভূমিকা
শসা হচ্ছে সালাদে সবথেকে ব্যবহৃত সবজি। শসার রয়েছে হাজারো গুণাবলী। শসা শুধু মাত্র তরকারি অথবা সালাদেই ব্যবহার করা হয়না এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী।
শসা তৈলাক্ত ত্বকের টোনার হিসাবে অনেক বেশি ভালো কাজ করে। মুখ ধোয়ার পর শসার রস টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। আরও বেশী ফলাফল পেতে শসার রসের সাথে টমেটোর রস লাগাতে পারেন।
শসাতে ব্লিচিং প্রপাটিজ আছে যা ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে। বাইরে থেকে এসে শসার রস ও গোলাপজল একসাথে ব্যবহার করলে সান বার্ন রোধ হবে।
মুখে কোন কালো দাগ পড়লে কচি শসার রস ২০মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে অল্প দিনেই দাগ উঠে যাবে।
ডার্ক সার্কেল কমাতে শসা অনেক কার্যকর। শসাতে এন্টি অক্সিডেন্ট চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে এসকরবিক এসিড ও ক্যাফেইক এসিড এটি চোখের ফোলা ভাব দূর করে।
শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বককে হাইড্রোটেড রাখে। এছাড়া শসার বিচিতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম যা ফাইন লাইন্স ও রিংকেল দূর করতে সাহায্য করে।
শসা খেলে আমাদের নখ ভাঙ্গে না ও সুন্দর থাকে, শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে।
চুলের বৃদ্ধিতে শসার উপকারিতা অতুলনীয়। শসা চুল পড়া ও চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে সালফার সোডিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম যা চুল বৃদ্ধি করে।