Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের আবিষ্কার

সম্প্রতি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) দেশে নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। সিলেটের জকিগঞ্জে আবিষ্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটি দেশের ২৮ তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃত। 
 

গ্যাস কূপটিতে মোট চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের কূপ থেকে প্রতিদিন এক কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে মোট ৬ হাজার ৮০০ কোটি ঘনফুট (৬৮ বিসিএফ) গ্যাস আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখানে যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাবে, তার বর্তমান দাম ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এখানে ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানো হবে। এ ছাড়া এখানে আরও তিনটি অনুসন্ধান কূপ খননের পরিকল্পনা আছে। এরপর ক্ষেত্রটিতে গ্যাসের মজুত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। পরিমাণে খুব বেশি না হলেও দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস পাওয়ার এই সংবাদে দেশের জ্বালানি খাতে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। 

 

করোনার প্রথমদিকে গ্যাস ও তেলের দাম কমলেও পরবর্তীতে গ্যাসের দাম অনেক বেড়ে যায়। কেবল দেশেই নয়, গ্যাসের ব্যবহার সারাবিশ্বে বেড়ে গেছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রমাণিত মজুদ কমে আসার প্রেক্ষিতে আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গ্যাস সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। পর্যাপ্ত গ্যাসের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিল্প কারখানা। বিকল্প হিসেবে আমদানি হচ্ছে ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। তবে বাপেক্সের কল্যাণে ২৮ তম গ্যাসক্ষেত্রের আবিষ্কার দেশে এই গ্যাসের সংকট অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হবে। 

 

সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের অষ্টম সাফল্য। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি আরও সাতটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। আগে এই গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং খনন কাজ পরিচালনা করত বিদেশী কোম্পানি। প্রাপ্ত গ্যাসের একটি বড় অংশ বা মূল্য তারাই নিয়ে যেত। তবে এখন আর আমাদের বিদেশের কাছে এক্ষেত্রে সাহায্য নিতে হয়না। চলতি বছর পহেলা মার্চ বাপেক্স এই কূপ খনন শুরু করে। দুমাস কঠোর পরিশ্রমের পর এই কাজ  শেষ হয় ৭ মে। এর মাধ্যমেই তারা আবিষ্কার করে ফেলেন দেশের ২৮ তম গ্যাসক্ষেত্র।

 

দেশে সর্বশেষ গ্যাসকূপ আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০১৮ সালে ভোলায়। তিন বছর পর আরও একটি পাওয়া গেল সিলেটের জকিগঞ্জে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ ১০ টিসিএফ বা ১০ লাখ কোটি ঘনফুট। বছরে গ্যাসের চাহিদা এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি ঘনফুট।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ