Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদের বুকে প্রথম মুসলিম নারী মহাকাশচারী

হাজার হাজার দূরে অবস্থিত চাঁদ বরাবরই নভোচারীদের কাছে আকর্ষণের জায়গা হয়ে আসছে। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার। নীল আর্মস্ট্রং এর নাম আমরা কম-বেশি সবাই শুনেছি। চাঁদে অবতরণকারী প্রথম মানুষ তিনি। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি চাঁদের বুকে পা রাখেন। এরপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত হওয়া চন্দ্রাভিযানগুলোর মাধ্যমে চাঁদের বুকে হেঁটে এসেছেন মাত্র ১২ জন মানুষ। এরপর থেকে অনেকেই চাঁদে অবতরণ করেছে। তবে এবার চাঁদের বুকে পা রাখতে যাচ্ছেন প্রথম মুসলিম নারী।

 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই মহাকাশচারী এবার চাঁদের বুকে যাবেন। তাদের মধ্যে এক জন নারী। এই প্রথম কোন আরব নারী যাচ্ছেন চাঁদে। তিনি হলেন ২৮ বছরের তরুণী নুরে আল মাত্রুশি। মাক্রশির সাথে চাঁদে যাবার সঙ্গী হবেন ৩২ বছর বয়সি মোহাম্মদ আলমুল্লাহ।

 

মহাকাশ গবেষণা একসময় আমেরিকা এবং রাশিয়ার একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। সেখানে পরে ভাগ বসিয়েছে ইউরোপের অনেক দেশ, সম্প্রতি প্রবল গতিতে এগিয়ে আসছে চীন। ভারতও এই কাজে পিছিয়ে নেই। কিন্তু আরবের দেশগুলো বরাবর এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি। 

 

কিন্তু এবার বড় পদক্ষেপ নিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। চাঁদে মানুষ পাঠাতে চলেছে তারা। আরও বড় খবর হল যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে যে দুই জনের চাঁদের মাটিতে হাঁটার সৌভাগ্য হতে চলেছে, তাদের একজন নারী। এই প্রথম কোনো নারীকে চাঁদের বুকে হাঁটানোর পথে এগোচ্ছে আরব দুনিয়ার কোনো দেশ। আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে দুই মহাকাশচারী আলমুল্লাহ ও নোরাকে দুই বছরের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।

 

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখার পরেই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন নুরে আল মাত্রুশি। পাশ করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। তারপর চাকরি করেন একটি পেট্রোলিয়াম শিল্প সংস্থায়। আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মহাকাশচারী খুঁজছে জানতে পেরে আবেদন করেন নুরে। পরীক্ষার ভিত্তিতে তাকে বেছে নেওয়া হয়।

 

নুরে আল মাত্রুশি বলেন, ছোটবেলা কাগজ আর কার্ডবোর্ডের বাক্স দিয়ে মহাকাশযান বানাতাম। আর স্বপ্ন দেখতাম সেই মহাকাশযানে মহাকাশে যাওয়ার। এখন সত্যি সত্যি যাচ্ছি। সেপ্টেম্বরে যাব নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে। সেখানেই শুরু হবে টানা দুবছরের প্রশিক্ষণ। চাঁদ অথবা আন্তর্জাতিক মহাকাশে স্টেশনে শেষ পর্যন্ত যেতে পারলে আমার অন্তরে লুকিয়ে থাকা শিশুটিই বোধহয় সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।

 

পৃথিবীর ইতিহাসে নাম লিখিয়ে চাঁদের বুকে হাঁটবেন এই হিজাধারী নারী। নুরে আল মাত্রুশি এখন মুসলিম নারীদের কাছে আদর্শে পরিণত হয়েছে। সকল নারীদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবেন তিনি।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ