Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজমা’র রাজকীয়তা 

রাজমা শব্দ টি মূলত হিন্দি ভাষায় ব্যবহৃত। ইংরেজিতে রাজমাকে বলা হয় Kidney Beans তবে বাংলায় এটি এক ধরনের সিমের বীজ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে এটি কাঠুয়া সিম, ঝাড় সিম কিংবা ফরাস সিম নামে পরিচিত। যে নামেই পরিচিত হোক না কেন এটি তার নিজস্ব গুণেই পরিচিত। 

 

রাজমা'র রাজকীয়তা তে কি কি গুণাগুণ রয়েছে তা জেনে নেই।

 

প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন কে রাজমা-তে থাকায় এটি শরীরের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও ভিটামিন কে বেশ উপকারী। তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো ও মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে রাজমা খেতে হবে। 

 

শর্করা জাতীয় খাবারের মেটাবলিজম রেট ঠিক রেখে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাজমা-য় থাকা ফাইবার বেশ কার্যকর। এছাড়াও পেট কে পরিষ্কার রাখার জন্য রাজমা তে থাকা ফাইবার উপকারী। রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উচ্চ ফাইবার যুক্ত রাজমা সাহায্য করে এবং রাজমায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম শরীরকে অ্যাজমা রোগ থেকে দূরে রাখে।

 

রাজমায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাজমা বেশ উপকারী। ভিটামিন সি ছাড়াও ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন থাকে রাজমা তে, যা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 

 

রাজমায় থাকা আয়রন রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ ঠিক রাখে এবং শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে। এছাড়া জিঙ্ক ও নায়াসিন ও রয়েছে রাজমায়, এই পদার্থ দুটি চোখকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

 

রাজমা মূলত ফ্ল্যাভোনয়েডস বা প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন সমৃদ্ধ খাবার। ফলে ত্বক ভালো রাখতে এবং ত্বকের বলিরেখা পড়তে বাধা দিতে রাজমা বেশ কার্যকর। যারা রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে ভুগছেন তাদের জন্য রাজমা বেশ উপকারী। কারণ রাজমা তে থাকে কপার যা লিগামেন্ট ও জয়েন্টের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

 

মানব শরীরের জন্য রাজমা বেশ উপকারী এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলেরই রাজমা খাওয়া উচিত। এতে করে রাজমা'র রাজকীয়তাতে বিদ্যমান সকল পুষ্টিগুণ মানুষের শরীরে বিরাজ করবে এবং রোগ প্রতিরোধে রাজমা ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ