বুসেনাজ সারমেনেলির গলায় তুরস্কের প্রথম সোনা
একের পর একের চমক নিয়েই যেন রেকর্ডের মিছিলে টোকিওতে মেতেছে এবারের অলিম্পিকের আসর। শুরু থেকেই দেখা গেছে প্রতিদিনই অংশগ্রহণকারীর কেউ না কেউ পূর্বের দীর্ঘের সময়ের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন। বিশেষ করে নারীদের অর্জন চোখে পড়ার মতো। কেউ রেকর্ড গড়ে সোনা জিতছে, কেউ রুপা, কেউ বা ব্রোঞ্জ আবার কেউ বা প্রথমবারের মতো দেশকে দেখাচ্ছেন স্বর্ণপদকের মুখ। আজকে তুরস্কের এমনি এক নারীকে নিয়ে কথা বলবো।
নাম বুসেনাজ সারমেনেলি। তুরস্কে বসবাসকারী এই নারীর বয়স ২৩ বছর। টোকিও অলিম্পিক আসরে মেয়েদের বক্সিংয়ে সোনা জিতেছেন তিনি। এটিই তুরস্কের প্রথম সোনা। সারমেনেলির হাত ধরেই প্রথম কোনো ব্যক্তি তুরস্ককে অলিম্পিকে সোনা জয়ের স্বাদ দিলো। তার চমকে বিস্মিত পুরো বিশ্ব।
ফাইনালে এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে তাকে জিতে নিতে হয় সোনা। ফাইনালে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো সর্বাধিক অলিম্পিকজয়ী দেশ চীনের গু হং। গু হংকে পরাজিত করার মাধ্যমে তিনি সোনা নিজের ঝুলিতে নেন। আর গু হং পায় রুপা।
একদিকে বিজয়ের আনন্দ আরেকদিকে দেশের হয়ে সোনা নিয়ে আসা – সবে মিলে সানমেনেলির আনন্দের বাধ ভেঙ্গে যায়। এই মুহুর্তে খুশির অশ্রু বেয়ে পড়ে তার চোখ থেকে। বিজয়ের আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়ার পূর্বে আবেগ-আপ্লুত সারমেনেলি মেঝেতে শুয়ে ফ্লোর চাপড়ান। অলিম্পিকের টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, তুরস্কের জন্য সোনা! ওয়েল্টারওয়েট চ্যাম্পিয়ন বুসেনাজ সারমেনেলি বক্সিংয়ে তুরস্কের প্রথম স্বর্ণ বিজেতা!
বুসেনাজ সারমেনেলির এই জয়ে খুবই আনন্দিত তুরস্ক। আর হবেই বা না কেন! দেশের ঝুলিতে রুপা পর্যন্ত অর্জন থাকলেও সোনা অর্জনের খাতায় প্রথমবারের মতো নাম উঠলো তুরস্কের। এ তো খুশিরই কথা। তুরস্কের ডেইলি সাবাহার খবরে বলা হয়, শনিবার জাপানের রাজধানী টোকিওর কোকুজিকান এলাকায় বক্সিংয়ে বুসেনাজ সারমেনেলি চমক দেখান। চীনের গু হংকে কুপোকাত করে প্রথমবারের মতো তুরস্কের জন্য সোনার পদক জেতেন।
শুধু অলিম্পিক না এর আগে থেকেই বুসেনাজ সারমেনেলি বক্সিংয়ে বিজেয়ের মুখ দেখেছিলেন। ২০১৯ সালে রাশিয়ার উলান-উডেতে অনুষ্ঠিত এআইবিএ ওয়ার্ল্ড বক্সিংয়ে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এর আগে এই টোকিও অলিম্পিকেই নারী ফ্লাইওয়েট বক্সিংয়ে তুরস্কের বক্সার বুসে নাজ কাকরোগলু বুলগেরিয়ার সোতোইকা ক্রাস্তেভাকে পরাজিত করে রুপা অর্জন করেছিলেন।