Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রহাণু আসছে পৃথিবীর দিকে

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি বিশালাকার গ্রহাণু! ফলে ফের একবার পৃথিবীবাসী আতঙ্কে দিন কাটাতে শুরু করেছে। যদিও গবেষকরা প্রাথমিকভাবে জানাচ্ছেন যে, ভয়ের কিছু নেই, গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাবে, ফলে পৃথিবীর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই; কিন্তু যদি কোনোভাবে গ্রহাণুটি তার গতিপথ পরিবর্তন করে, তাহলে এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এবং বেশ বড়ো ধরনের মর্মান্তিক পরিণতি ঘটার ভালোরকম সম্ভাবনা রয়েছে। 

 

অতীতেও আমরা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এরকম প্রচুর গ্রহাণুর খবর পেয়েছি, যদিও সেগুলি কোনটিই পৃথিবীর কোন ক্ষতি করেনি। কিন্তু যদি কখনো কোন গ্রহাণু পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ে, তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা আসন্ন 2016 AJ193 নামক গ্রহাণুটিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করে দিয়েছেন।

 

নাসা গ্রহাণুটিকে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু’ (potentially hazardous asteroid) হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। গ্রহাণুটি সম্পর্ক কিছু অদ্ভুত তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

 

গ্রহাণুটি ২১ আগস্ট পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রহাণুটি যে পৃথিবীর খুব কাছে আসবে এমনটা একেবারেই নয়। দূরত্বটি আমাদের পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ৮.৯ গুণ বেশি হবে বলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

 

 তাই তাঁরা ভয়ের কোন কারণ দেখছেন না। EarthSky অনুসারে, গ্রহাণু 2016 AJ193 ঘন্টায় ৫৮,৫৩৮ মাইল গতিতে ধেয়ে আসছে, যা ঘন্টায় প্রায় ১০০,০০০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি, অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ২৬.১৭ কিলোমিটার (প্রায়)।

 

 দুঃখের বিষয় হল খালি চোখে গ্রহাণুটিকে দেখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে Earthsky এর রিপোর্ট অনুসারে, যাদের টেলিস্কোপ আছে তারা এটি দেখতে সক্ষম হবেন, এমনকি তারা যদি অপেশাদার হন তাহলেও দেখার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।

গ্রহাণুটি ১.৪ কিলোমিটার চওড়া, যা এক মাইলেরও কম। গ্রহাণুটি রিফ্লেক্টিভ নয় এবং বেশ খানিকটা অন্ধকার। EarthSky অনুসারে, গ্রহাণুটি প্রতি ৫.৯ বছর অন্তর সূর্যের চারদিকে ভ্রমণ করে। জানা গেছে যে, আগামী ৬৫ বছরের মধ্যে এটিই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসা বস্তু।

 

গ্রহাণু কিংবা অন্য কোন অবজেক্ট যেমনেই হোক নাহ কেন মানুষের জন্য এ যেন এক আতংক। ক্রিটিসিয়াস যুগে ডাইনোসরদের বিলুপ্তির কারণ হিসাবে ১০ কিলোমিটার আকারের একটি গ্রহাণুর দায় দেওয়া হয়।হয়তো এবার নয় কি মানবজাতিও এভাবেই বিলুপ্তি হবে? শুরু হবে নতুন কোন অধ্যায়!

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ