Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাদাম জগতের মহারাজা

কাজুবাদাম অবসরে খেতে কার না ভালো লাগে? পড়ার মাঝে কিংবা পড়ন্ত বিকেলে কয়েকটা কাজু বাদাম খাওয়ার যেন জুড়ি নেই। সামান্য কাজুবাদামের ব্যবহারে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। এছাড়া শারীরিক পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করতে কাজু বাদামের উপকারিতার কোন তুলনা হয়না। কাজুবাদামের সামগ্রিক ভালো দিক গুলো ধরার এই কিঞ্চিৎ প্রয়াস।

 

কাজু বাদামে উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা ভাবে শরীরের উপকার করে।কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। তাই অনেকে একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট বলেও মনে করেন।

 

কাজুবাদামে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে গ্লুকোজের ভারসাম্য রক্ষা করে ও শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পাঁচ ছয়টা কাজু বাদামে মানব শরীরের অনেক উপকার হয়। কাজুবাদামে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে এবং পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজুবাদাম অনবদ্য ভূমিকা পালন করে।

 

ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চিন্তা করবেন না কারণ আপনার কাছেই আছে এর সমাধান। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর এই কাজুবাদাম নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাজুবাদামে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের গ্লুকোজের ভারসাম্য রক্ষা করে ও শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।প্রতিদিন পাঁচ ছয়টা বাদাম খান দেখবেন উপকার মিলবে।

 

কাজুবাদামে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজুবাদাম অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্টের নানাবিধ সমস্যা থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কাজুবাদাম খেতেই পারেন।

 

কাজুবাদামে উপস্থিত আর্জিনিন নামক উপাদান থাকে যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায় ও হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কাজুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওলিসিক নামক এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা দেহের গুড কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়ায় ও ব্যাড কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

 

নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। তাই বিভিন্ন ডায়েটিসিয়ান ও নিউট্রিসানিস্টরা কাজুবাদামের উপকারিতা দেখে এই বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

 

কাজুবাদাম জিকা ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সিদ্ধহস্ত। ইনফেকশনের শিকার হলে কাজুবাদাম হতে পারে মহাঔষধ।  সংক্রামণের হাত থেকে মুক্তি মেলে কাজুতে। বর্তমান যুগে ক্যান্সার তো প্রায় ঘরে ঘরেই পৌঁছে গেছে। এই মারণ রোগ প্রতিরোধে কাজুবাদামের উপকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখা গেছে যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো এই মারণ রোগ প্রতিরোধে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।

 

কাজুবাদামের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার প্রতিরোধেও সহায়ক।কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামক উপাদান ত্বকের ক্যান্সার রোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

 

শিশু শিক্ষার্থীর স্মৃতিশক্তি  বৃদ্ধি করতে ও বয়ষ্কদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চিকিৎসকরা কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কাজু বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে মস্তিষ্কের টিস্যু গুলির শক্তি বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশনেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বাড়তে শুরু করে।তাই কাজুবাদাম কে ব্রেনের পাওয়ার বুস্টার ও বলা হয়ে থাকে।

 

যখন লিখছি তখনো কাজু বাদাম সাথে ছিল। কাজুবাদামের উপকারিতা ব্যাখ্যা করে শেষ করা হয়তো দুস্কর তবে কাজু বাদামের মহাগুণ যেন মানব জাতির জন্য আশীর্বাদ। আপনি এতোগুলো গুণ দেখেও পরিস্কার সাদা বাদাম গুলো কি খেতে চাইবেন নাহ?

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ