Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা 

স্বাদে ভরপুর যত সবজি রয়েছে তার মধ্যে একটি অনন্য সবজি হল মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়া খেতে কিছুটা মিষ্টি হয়। তবে মিষ্টি কুমড়া তরকারির পাশাপাশি পায়েস, বড়া প্রভৃতি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়।

 

মিষ্টি কুমড়াতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্স, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ক্যারটিনয়েড ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ। কুমড়া বেটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ সবজি হওয়ায় দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ তৈরি করে। 

 

মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ কার্যকর। ভিটামিন এ ও সি থাকায় মিষ্টি কুমড়া ত্বক ও চুলকে ভালো রাখে। ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় কুমড়া চোখের জন্যও অনেক উপকারী। 

 

মিষ্টি কুমড়ায় ক্যালরি খুবই কম পরিমাণে থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম থাকে যা হৃদরোগ ও হাইপারটেনশন দূরে রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সর্দি-কাঁশি এবং ঠাণ্ডা জনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন সি খুবই প্রয়োজন এবং মিষ্টি কুমড়া ভিটামিন সি এর খুব ভালো উৎস। 

 

কুমড়াতে থাকা আয়রন গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী। বাচ্চাকে অক্সিজেন দিতে সাহায্য করে এবং মায়ের রক্তশূন্যতা রোধ করে। প্রসাবের সমস্যা কমানো এবং কিডনিতে পাথর হতে বাধা দিতেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী। 

 

অধিক পরিমাণে বেটা-ক্যারোটিন মিষ্টি কুমড়াতে থাকে। বিভিন্ন দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যেসব ক্ষতিকর ও কেমিক্যাল উপাদান থাকে এসবের কারণে ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে শুরু করে, মিষ্টি কুমড়া এই ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ