Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়

ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুড কে না পছন্দ করে, এর কথা শুনলেই যেন খেতে ইচ্ছে হয়। সেটা ঘরে হোক বা বাইরে এমনকি বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ফাস্টফুড, স্ন্যাকস না খেলে যেন মন ও পেট ভরেই না। কিন্তু ক্ষতিকর জেনেও অনেকে বার্গার, স্যান্ডউইচ, পিজ্জার মত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে থাকেন। ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গুলোতে থাকে অত্যধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ১৪.১ মিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই রোগের শিকার হচ্ছে। 
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যে উপস্থিত ফ্যাট হল ট্রাইগ্লিসারল। যা তৈরি হয় মূলত তিনটি ফ্যাটি অ্যাসিড ও একটি গ্লিসারল মলিকিউলের সমন্বয়ে ৷ এই দুটি মলিকিউল এস্টার নামক বিশেষ রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে৷ যার ফলে বন্ধনের প্রকৃতি অনুসারে ‘ডাবল বন্ড’ বা ‘সিঙ্গল বন্ড’ ফ্যাটকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়৷ এই তিনটি হল- স্যাচুরেটেড ফ্যাট, মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ৷ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে মিশে খারাপ ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। 
খারাপ কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের রক্তবাহী ধমনী এবং ধমনীর পথ সংকীর্ণ করে রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে৷ যার ফলে হতে পারে প্রাণঘাতী হৃদরোগ, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনসহ হার্ট অ্যাটাকের মত জটিল সব রোগ। 

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ক্যালোরির প্রায় ৫-৬ শতাংশ বিদ্যমান। তাই এর ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয় ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

 

মেয়োনিজ: ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হোক আর বার্গার যেকোন ফাস্টফুডের সঙ্গে তো মেয়োনিজ রাখতেই হবে। তবে মজাদার এই খাবারে থাকে অধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক চা চামচ মেয়োনিজে ১৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এমনকি দিনে যদি ৩-৪ চামচ বা আরও বেশি খাওয়া হয় তা হবে ক্ষতিকারক। তবে প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচের বেশি মেয়োনিজ না খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
  
মাখন: মেয়োনিজের চেয়েও অধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে মাখনে। প্রায় ৭ গ্রাম মাখনে থাকে ১৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তাই যতটা সম্ভব মাখন কম গ্রহণ করা যায় ততটাই ভালো। তবে আপনি যদি প্রতিদিন মাত্র ১-২ চামচ মাখন খান, তাতে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। 

 

কেক: ক্রিম কেক খেতে  যতই সুস্বাদু লাগুক না কেন, তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মাসে এক বা দুইদিন সামান্য কেক খেতে পারেন। তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকবে না। তবে আপনি যদি সীমা ছাড়াই কেক খান তবে আপনার সমস্যা হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। 

 

চিজ: পিজ্জা কিংবা বেকড পাস্তায় চিজ না থাকলে খেতেই ইচ্ছে করে না, তবে চিজে ৩.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তাই হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে চিজ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।

 

ভাজা খাবার:  প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি সবাই ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে থাকেন। তার মধ্যে থেকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নাগেটসের মতো ভাজা খাবারগুলো এড়িয়ে চলায় ভালো ।

 

হুইপড ক্রিম: বেশির ভাগ কেক এবং পেস্ট্রি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় হৃইপড ক্রিম। ১৫ গ্রাম এক টেবিল চামচ ৩ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যার ফলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায় এবং শরীরের জন্য  বেশ ক্ষতিকর।

 

তাই এ ধরণের ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুড খাবার যত কম খাওয়া যাবে, মানব শরীরের জন্য তত ভালো।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ