অলিম্পিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সোনা নারীর হাত ধরে
টোকিও অলিম্পিকে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম সোনার দেখা পেল নারী সাঁতারু তাতজানা শোয়েনমেকারের হাত ধরে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোন ক্রীড়াবিদ স্বর্ণপদক এনে দিলেন। শুধু স্বর্ণপদকই নয়, বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সাঁতারে স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছেন এই নারী সাঁতারু। এরই সঙ্গে ২৫ বছর পর অলিম্পিক সাঁতারে সোনা জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৬ সালে আটালান্টা অলিম্পিকে সর্বশেষ তাদের সোনা এনে দিয়েছিলেন পেনি হেইন্স। আর এবার রেকর্ড গড়ে সোনার হাসি হাসলেন শোয়েনমেকার।
বার্সেলোনায় ২০১৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক ২ মিনিট ১৯.১১ সেকেন্ডে শেষ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন ডেনমার্কের রিকে মোলের পেডেরসেন। টোকিও অলিম্পিকে আজ ৮ বছর আগের সেই রেকর্ড ভাঙলেন শোয়েনমেকার। টোকিও অলিম্পিকের পুলে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস লিখলেন শোয়েনমেকার। তাও আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলে। ২ মিনিট ১৮.৯৫ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে সোনার পদক জিতেছেন তিনি।
মেয়েদের ব্রেস্ট স্ট্রোকে ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে খ্যাত এবং এই ইভেন্টের ১০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ডধারী যুক্তরাস্ট্রের লিলি কিংও শোয়েনমেকারের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। ২ মিনিট ১৯.৯২ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে রুপা জিতেছেন লিলি। তাঁর সতীর্থ অ্যানি লেজর জিতেছেন ব্রোঞ্জ (২ মিনিট ২০.৮৪ সেকেন্ড)।
অথচ সাঁতারের প্রথম ভাগে এগিয়ে ছিলেন লিলি। ওই সময়ের হিসাবে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েন আমেরিকান সাঁতারু। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শোয়েনমেকার শুধু সোনাই নিশ্চিত করলেন না, গড়লেন ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের বিশ্ব রেকর্ড। টোকিও অলিম্পিকের সাঁতারে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত বিশ্ব রেকর্ডের নজির। এর আগে দুটো বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে, তবে দুটিই ছিল রিলে ইভেন্টে।
তিন দিন আগে এই নারী ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক ইভেন্টে রুপার পদক জয় করেছিলেন। তিন দিন পর রুপার পদক সোনার পদকে পরিণত হলে আরো কঠিন লড়াইয়ে। তাই হয়তো পোডিয়ামে উঠে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না বিশ্ব রেকর্ডধারী তাতজানা শোয়েনমেকার।