প্রোটিনের ঘাটতি হলে শরীরের যেসব ক্ষতি হতে পারে
প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রোটিন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই প্রোটিনের অভাব হলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। আর তাই প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন সম্পৃক্ত খাবার।যেমন, দুধ, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, বিভিন্ন ধরনের বাদাম (কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম) ইত্যাদি। প্রোটিনের অভাব হলে শরীরে যে যে ক্ষতি বা সমস্যা হতে পারে তা এখন আমরা জেনে নিব।
এডিমা বা ফোলা ভাব
শরীরের প্রোটিনের অভাব হলে হাত, পা, ও পায়ের পাতা ফুলে যায়।যেটা কিনা প্রোটিনের অভাবে হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রোটিন না খাওয়ার ফলে টিস্যুতে তরল জমে যার ফলে শরীররে বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।
ক্লান্তি ভাব
পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন যদি শরীর না পায় তাহলে পেশি ঠিক মত কাজ করতে পারে না। কেননা এই প্রোটিন পেশি এবং টিস্যুকে সচল রাখতে এবং সঠিক ভাবে চালনা করতে সাহায্য করে। যার অভাব হলে শরীর অল্পতেই ক্লান্তি ভাব চলে আসে যা মেটাবোলিজমেও প্রভাব ফেলে।
ত্বক, চুল এবং নখের সমস্যা
প্রোটিন আমাদের ত্বক, চুল এবং নখ তৈরিতে ব্যাপক ভাবে ভূমিকা পালন করে। আমাদের ত্বক, চুল এবং নখ ভালো রাখতে তাই প্রোটিন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর অভাব হলে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক, নখ ভেঙে যাওয়া সহ, চুলেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
খিদে বেড়ে যাওয়া
প্রোটিন শরীররে ক্যালরি বহন করে। তাই পরিমাণ অনুযায়ী প্রোটিন গ্রহণ না করলে খুদা বেড়ে যায় এবং অধিক খাওয়া হয়ে যায়।ফলে শরীর ফুলে যায়।আর ক্যালরির মাত্রা ও বেড়ে যায় অনেক।
ফ্যাটি লিভার
প্রোটিন এর অভাব হলে শরীরে ফ্যাটি লিভার জমাট বাধে। যার কারণে শরীররে ফ্যাট জমে শরীর ফুলিয়ে দেয়। যেটি শরীররে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
পেশী ভর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
প্রোটিন এর ঘাটতি হলে শরীরের পেশী গঠন থেমে যায় এতে পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেননা পেশীর বেশিরভাগ অংশ ই প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রোটিন না থাকলে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যার ফলে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়
প্রোটিন এর অভাব হলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধে শরীরের ভিতর।
তাই পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রোটিন খেতে হবে এবং খাবারে রাখতে হবে পরিমাণ অনুযায়ী প্রোটিন যুক্ত সব খাবার। এতে শরীর থাকবে সুস্থ এবং রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত।