ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে ‘আম’
সরিষা দিয়ে কাচা আম মাখিয়ে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। কাচা আমের নাম শুনলেই মুখে পানি চলে আসা টা স্বাভাবিক। কিন্তু পাকা আম?
এই ঘ্রাণের মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারি কোন আমটা বেশি পাকা বা মিষ্টি হবে! আমরা সবাই আম খাই সেটা ঠিক আছে, কিন্তু আমরা সবাই কি আমের গুণাবলী জানি?
আম খেলে কি হয়? আমরা কেন আম খাবো?আমের কোন উপকারিতা আছে কি না? তাই আজ বলবো আমের কি কি উপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানান, পাকা আমে ক্যারোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ২৭৪০ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন থাকে। আম শ্বেতসারের জন্য ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ২০ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়। রয়েছে ১০৭ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আঁশ, ২৪ গ্রাম শর্করা। এছাড়া এতে রয়েছে ২৫৭ মি.গ্রা. পটাসিয়াম, ০.২ মি.গ্রা ভিটামিন বি-৬।
এছাড়াও পাকা আমে রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ০.১ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১ ও ০.০৭ মি.গ্রা. বি-২ রয়েছে।
আসুন জেনে নেই আমের উপকারিতা সম্পর্কে-
১) আমের ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশি দূর করে।
২) কার্বোহাইড্রেইট কর্মশক্তি যোগায়।
৩) আমের আয়রন রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৪) আমে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় সুগঠিত করে, হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে।
৫) আমে আছে দৈনিক চাহিদার ৭৬ শতাংশ ভিটামিন ‘সি' । ভিটামিন সি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। দাঁত, মাড়ি, ত্বক ও হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি।
৬) এর পটাশিয়াম রক্ত স্বল্পতা দূর করে ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে।
৭) এই ফলের আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আমে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমের পলিফেনল স্তন ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। এছাড়া কোলন ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
তাই সুস্থ থাকতে এবং বিভিন্ন রোগের সমাধান পেতে আম খেতে পারেন।