ডাবের পানির উপকারিতা
প্রচণ্ড গরমে কাজের ব্যস্ততায় আমাদের শরীর থেকে ঘামের সাথে প্রয়োজনীয় পানি বের হয়ে আসে তখন শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে। এসময় খুব দ্রুত প্রশান্তি এনে দিতে পারে ডাবের পানি।
ডাবের পানিতে প্রিজারভেটিভ, ফ্লেভার ও কৃত্রিম রঙ থাকেনা। তাই বাজারের তরল পানীয় গুলোর থেকে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে বিবেচনা করে ডাবের পানিই সবার পছন্দ। ডাবের পানি অত্যন্ত উপকারী পানীয়।
ডাবের পানি শুধু শরীরকে ডিহাইড্রেট করে না, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়া রূপচর্চার কাজেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রাকৃতিক এনজাইম ও খনিজ উপাদান যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ডাবের পানির গুনাগুণ নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
ডাবের পানিতে বিভিন্ন খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে যা দেহে ইলেক্ট্রোলাইট পুনরায় পূরণ করতে সাহায্য করে। ডাবের পানি পান করলে শরীরে তাৎক্ষনিক পানির অভাব পূরণ হয় ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ডাবের পানি ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাবের পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ডাবের পানিতে ফাইবার থাকায় ডাবের পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়াও ডাবের পানি কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ডাবের পানিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, তাই ডাবের পানি ত্বকের ইনফেকশনে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ডাবের পানি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে।
ডাবের পানিতে এসেনশিয়াল মিনারেলস, ভিটামিনস, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এছাড়াও এতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল প্রোপার্টিস রয়েছে, যা স্কিনকে ব্রণ হতে বাঁচায় এবং স্কিনের দাগ-ছোপ হালকা করতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে অন্যান্য ফলের রসের পরিবর্তে ডাবের পানি বেশি কার্যকর। কারণ ফলের রসে চিনি থাকতে পারে, অন্যদিকে ডাবের পানিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে কিন্তুু চিনির পরিমাণ কম থাকে।
অনন্যা/এআই