Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮২ বছর বয়সে মহাকাশ ভ্রমণে যাচ্ছেন ওয়ালি

বয়স তো কেবলই একটা সংখ্যা মাত্র।  যারা দিনশেষে সেই সংখ্যাটিকে আঁকড়ে ধরে বসে ছিল তারাই বারবার হেরে গিয়েছে জীবনের কাছে।  আর যারা বয়সকে কেবল একটি সংখ্যা মনে করে এগিয়ে গিয়েছেন তারাই দেখতে সক্ষম হয়েছেন রঙিন এই পৃথিবী। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ওয়ালি ফাঙ্ক। পেরিয়েছেন জীবনের ৮২ টি বসন্ত।  তবে তাই বলে ঘরের কোনে বসে মৃত্যুর অপেক্ষা করছেন না তিনি। দেশ, বিদেশ নয় মহাকাশ ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

যে বয়সে মোটা ফ্রেমের চশমা লাগিয়ে ঘরে নাতি নাতনিদের সাথে খেলা করার কথা, দিনভর শুয়ে বসে কাটানোর কথা। ঠিক সেই বয়সেই তিনি করতে যাচ্ছেন বিশ্ব রেকর্ড। ৬০ বছর আগে স্বপ্ন দেখেছিলেন মহাকাশ ভ্রমণের। সেবার মহাকাশ যাত্রার যাবতীয় প্রশিক্ষণও সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। তবে নারী হওয়ার দরুন সেবার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় তার। 

১৯৬১ সালে নাসা ও মার্কিন কংগ্রেস সেসময় নারীদের মহাকাশে যাওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেয়নি। তাইতো সে বছর ‘মার্কারি-১৩’-তে মহাকাশচারী হওয়ার জন্য নাসার পরীক্ষায়  সফলভাবে উৎরে যাওয়ার পরও বাদ পরতে হয় ১৩ জন নারীকে । সেই ১৩ জন নারীর মধ্যে ছিলেন আজকের ৮১ বছর বয়সী ওয়ালিও। তখন তিনি ছিলেন ওই প্রোগামের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। প্রশিক্ষণের পুরুষ সদস্যদের টেক্কা দিয়ে ভালো ফলাফলও করেন তিনি। কিন্তু কোনোভাবেই পূরণ হয়নি মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন৷ 

অবশেষে সব ঠিক থাকলে ৬০ বছর  পর পূরণ হবে তার স্বপ্ন। আর এই মহাকাশযাত্রায় ওয়ালির সঙ্গী বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোস, তার ভাই মার্ক বেজোস এবং আরো এক ব্যক্তি যার নাম এখনও প্রকাশিত হয়নি। জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ শেফার্ড বুস্টার নামের মহাকাশযান হবে তাদের এই মহাকাশ ভ্রমণের সাথী।  

এই মাহাকশযানটিতে করে তারা মোট ১০ মিনিটের জন্য মহাকাশভ্রমণের সুযোগ পাবেন। মহাকাশযানটি তাদের পৃথিবী থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার উপরে নিয়ে যাবে, যেখানে তারা ভর শূন্যতা উপভোগ করতে পারবেন। ছয়জনের উপযোগী ওই ক্যাপসুলটি পরে প্যারাসুট ব্যবহার করে পৃথিবীতে নেমে আসবে। 

বেজস এ বিষয়ে ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ৮২ বছর বয়সী ফাঙ্ক তাদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে মহাকাশে যাচ্ছেন। ৮২ বছর বয়সে এসে মহাকাশভ্রমণের বিষয় নিয়ে বেশ আগ্রহী ওয়ালি। এ বিষয়ে  তিনি বলেন, 'যদিও অনেক দেরি হয়ে গেল, তবুও এবারে মহাকাশ ভ্রমণ খুবই উপভোগ করব।'

একসময়  নভোচারী হতে চেয়েছিলেন ওয়ালি নামের এই নারী।  কিন্তু হতে পারেননি। সেখানেও বাঁধ সেধেছিল সমাজের নানান বাঁধা। সবাই বলেছে তুমি একটা মেয়ে, তুমি পারবে না। সে যাত্রায় থামতে হয়েছিল তাকে। তবে এই মহাকাশ ভ্রমণের ব্যাপারেও যে বাঁধা আসছেনা তা নয়। বরং বয়স, লিঙ্গভেদ সহ যতরকমের বাঁধা রয়েছে তা উপেক্ষা করে তিনি এগোচ্ছেন তার স্বপ্ন পূরণের দিকে।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ