Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল সেন্টারে ৫০ শতাংশ  উদ্যোক্তাই নারী

ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর একটি অত্যাধুনিক তথ্য ও জ্ঞানকেন্দ্র(টেলিসেন্টার) হচ্ছে ডিজিটাল সেন্টার। যার উদ্দেশ্য হল তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা নিশ্চিত করা। বর্তমানে পুরো দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। আর এই ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে সব মিলিয়ে উদ্যোক্তা আছে ১৫ হাজারেরও বেশি।  যার মধ্যে ৫০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা বলে জানিয়েছে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।  

২০১০ সালে ‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা’ (Service at Doorsteps)-এ ম্লোগানকে সামনে রেখে ডিজিটাল সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। সহজে, দ্রুত ও কম খরচে সরকারি ও বেসরকারি সেবা পাবার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনমান সহজ করার লক্ষ্যেই এর যাত্রা শুরু।  

এ কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ জনপদের মানুষ খুব সহজেই  জীবন জীবিকাভিত্তিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় সেবা পায়। বর্তমানে মানুষকে আর সেবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে না, বরং সেবাই পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের দোরগোড়ায়। শুধু কি তাই?  ডিজিটাল সেন্টারকে কেন্দ্র করে সারাদেশে তৈরি হয়েছে হাজার হাজার উদ্যোক্তা।  আর তার মধ্যে নারীরাও তৈরি করে ফেলেছে বিশাল একটি সুযোগ।  

 
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক রিজিওনাল অফিসের উদ্যোগে ‘গার্লস ইন টেক ডে বাংলাদেশ ২০২১’ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। 

এছাড়াও এসময়ে তিনি আরো বলেন, 'ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে চার হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ও উইমেন কল সেন্টার এজেন্ট হিসেবে প্রায় সাত হাজার নারী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।'

শুধু উল্লেখিত এসব ক্ষেত্রেই নয়, বর্তমানে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অনেক নারীই। কিন্তু সবক্ষেত্রেই নারীর সমান উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দেশের প্রযুক্তিখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে তাই প্রয়োজন প্রযুক্তি খাতে নারীর সর্বাধিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ